রবিবার, ৩ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতিমুক্ত বছর চাই

জুলকার নাইন

 সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতিমুক্ত বছর চাই

হাফিজ উদ্দিন খান

সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও দুর্নীতিমুক্ত একটি বছর প্রত্যাশা করেন দেশের প্রবীণ নাগরিক হাফিজ উদ্দিন খান। তিনি বলেন, অন্য অনেকের মতো আমারও এটাই প্রত্যাশা। কিন্তু এর কোনো লক্ষণ আমি দেখি না। এ জন্য কোনো স্বপ্নও দেখার সাহস পাই না। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টা। বর্তমানে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সভাপতি ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বরং সুশাসনের পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি বলেন, বেশ কিছু বিষয়ের ওপর সুশাসন নির্ভর করে। এর মধ্যে প্রথম হলো আইনের শাসন। রাষ্ট্রে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে থাকবে না, সবার জন্য আইন সমান হবে। আইনের দ্বারা কেউ কষ্ট পাবে না বা হেনস্তার শিকার হবে না। আইনি বাহিনীর দ্বারা হত্যা, গুম, অপহরণ এগুলো হবে না। কেউ বছরের পর বছর বিচারের অপেক্ষায় কারাগারে আটক থাকবে না। যাকে তাকে যখন তখন গ্রেফতার করা হবে না। দুর্নীতি থাকবে না। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে হবে। মানবাধিকার লঙ্ঘন দূরের কথা, প্রত্যেকের অধিকার সুরক্ষা করতে হবে। এর সবই সুশাসনের অপরিহার্য উপাদান। এগুলো নেই, হচ্ছে না এবং এগুলো নিশ্চিত করার কোনো পদক্ষেপও দেখা যাচ্ছে না। তার পরও প্রত্যাশা থাকবে, নতুন বছরে মানুষের এসব অধিকার নিশ্চিতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সাবেক মহানিরীক্ষক হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, দুর্নীতিমুক্ত একটি বছরও প্রত্যাশা করি। কিন্তু সেখানেও কোনো পদক্ষেপ দেখি না। তবে এটি শুধু বর্তমান সরকারের ওপর দোষ চাপালে চলবে না, অতীতের কোনো সরকারই দুর্নীতি নির্মূলে তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। বর্তমান দুর্নীতি দমন কমিশন কিছু কাজ করছে, এগুলোও প্রশ্নের ঊর্ধ্বে নয়। আবার বর্তমান কমিশনের মেয়াদও আসছে ফেব্রুয়ারিতে শেষ হয়ে যাবে। নতুন করে কমিশনে কোন ধরনের লোকেরা নিয়োগ পান তা-ও লক্ষ্য করার মতো একটি বিষয়। তিনি বলেন, সব কিছুর পরও আমরা জনগণ দেশের রাজনীতিবিদদের কাছে অনেক কিছুই প্রত্যাশা করি এবং বার বার আশাহত হই। নতুন বছরে তারা আর আমাদের আশাহত করবেন না বলে আশা করি।

সর্বশেষ খবর