বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে

লজ্জার পরাজয়ে দায় কার

মেজবাহ্-উল-হক, খুলনা থেকে

সূক্ষ্ম চালে দাবায় দুর্বল প্রতিপক্ষকে হারানো কঠিন নয়! কিন্তু ক্যাসিনোতে? দুর্বল-সবল মানদণ্ড সেখানে থাকে না। জুয়ার আসরে ভাগ্যই শেষ কথা! শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে গতকাল যেন ‘জুয়া’ খেলতে গিয়েই লজ্জায় ডুবল বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচে যে জিম্বাবুয়ে পাত্তাই পায়নি সেই ছন্নছাড়া দলটির কাছেই ৩১ রানে লজ্জাজনকভাবে হেরে গেল টাইগাররা। 

আসলে এই লজ্জার দায় কার! ক্রিকেটারদের নাকি টিম ম্যানেজমেন্টের! পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোটা দোষের কিছু নয়! তাই বলে এক ম্যাচে ৫টি পরিবর্তন। তার মধ্যে আবার চারজনেরই অভিষেক। টি-২০তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাওয়ার প্লেতে বোলিং। সেখানেও যেন ‘ক্যাসিনো’র স্টাইলটা প্রয়োগ করলেন মাশরাফি। প্রথম ৫ ওভারই বোলিং করানো হলো দুই অভিষিক্ত বোলার আবু হায়দার রনি ও মোহাম্মদ শহীদকে দিয়ে। আর ওই পাঁচ ওভারেই জিম্বাবুয়ে করলো ৫১ রান। এরপর আর ম্যাচে ফিরতেই পারেনি বাংলাদেশ। মাশরাফি, সাকিব, মাহমুদুল্লাহ ও সাব্বিরকে বাদ দিলে গতকাল বাংলাদেশ দলের বাকি ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতার ঝুলিতে ছিল মাত্র ১২টি টি-২০ ম্যাচ! যেন হারার জন্যই কাল এমন একটি অনভিজ্ঞ দলকে মাঠে নামিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট! অথচ কাল গোটা দেশ সিরিজ জয়ের আনন্দে মেতে উঠার জন্য মুখিয়ে ছিল, শেষ পর্যন্ত তাদের আশায় গুঁড়েবালি! সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিক ও সেরা বোলার মুস্তাফিজ ইনজুরির কারণে দলের বাইরে চলে যাওয়ায় এমনিতেই একটা বড় ধকল অপেক্ষমাণ ছিল সেখানে দলে আরও তিনটি পরিবর্তন কী খুবই জরুরি ছিল!   টিম ম্যানেজমেন্টের অতিরিক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ নিয়ে গতকাল ইতিহাস সৃষ্টি করে জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো ১৮৭ রানের বিশাল স্কোর করে। তারপর বাংলাদেশ ১৫৬ রানের বেশি করতে পারেনি। ৩১ রানের এই হারটা অতিরিক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষারই কুফল। বৃথাই গেল সাব্বির রহমানের দুর্দান্ত হাফ সেঞ্চুরিটি। আগের দুই ম্যাচে ৪৬ ও ৪৩* রানের দুটি ইনিংস খেলার পর গতকাল অর্ধশতক পূরণ করেন। কিন্তু কাঁটায় কাঁটায় ৫০ রান করেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হয়েছে সাব্বিরকে। আর সাব্বিরের আউটের পরই মুখ থুবড়ে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর