সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

জেলায় জেলায় ঘুরছেন এরশাদ

শফিকুল ইসলাম সোহাগ

জেলায় জেলায় ঘুরছেন এরশাদ

আগামী ১৬ এপ্রিল জাতীয় পার্টির ত্রিবার্ষিক কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সফল করার জন্য মাঠে নেমেছেন দলটির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জেলায় জেলায় ঘুরছেন তিনি। সফলভাবে কাউন্সিল সম্পন্ন করার জন্য আগামী ৪ এপ্রিলের মধ্যে জাতীয় পার্টির ৩৮টি জেলার সম্মেলন করার উদ্যোগ নিয়েছেন এইচ এম এরশাদ। জানা যায়, ১৩ ফেব্রুয়রি মুন্সীগঞ্জ জেলায় সম্মেলন করেছেন এইচ এম এরশাদ। এ ছাড়াও এরশাদ পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের এবং মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারকে সঙ্গে নিয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর মহানগর, ১ মার্চ রংপুর, ২ মার্চ লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও জয়পুরহাট, ৫ মার্চ সুনামগঞ্জ, ৬ মার্চ সিলেট জেলা ও মহানগর, ১৩ মার্চ ঢাকা, ২৯ মার্চ পটুয়াখালী, ৩০ মার্চ বরগুনা, ১ এপ্রিল বরিশাল জেলা, ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলনে অংশ নেবেন। এ ছাড়া ২৫ ফেব্রুয়ারি ভোলা, ৩ মার্চ পিরোজপুর, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও খুলনা মহানগর, ১০ মার্চ গাজীপুর জেলা, ১১ মার্চ কুমিল্লা মহানগর, ১২ মার্চ শেরপুর, ১৫ মার্চ চাঁদপুর, ১৬ মার্চ নোয়াখালী ও বান্দরবান, ১৭ মার্চ রাঙামাটি, ১৯ মার্চ মাগুরা, ২০ মার্চ মেহেরপুর, ২১ মার্চ কুষ্টিয়া, ২২ মার্চ ঝিনাইদহ, ২৩ মার্চ পাবনা, ২৪ মার্চ রাজবাড়ী, ২৫ মার্চ বগুড়া, ২৭ মার্চ ব্রাক্ষণবাড়িয়া ও ২৮ মার্চ ফেনী জেলার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এসব জেলার সম্মেলনে নেতৃত্ব দেবেন কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাইদুর রহমান টেপা, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, এস এম ফয়সল চিশতী, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান, মীর আবদুস সবুর আসুদ ও আলমগীর শিকদার লোটন। জানতে চাইলে পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান,  কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সফল করার জন্য যেসব জেলায় সম্মেলন হয়েছে সেখানেও যাব। কাউন্সিলের আগে সব জেলার সম্মেলন সম্পন্ন করা হবে। সারা দেশের ডেলিগেটরসহ কমপক্ষে ৫০ হাজার ডেলিগেট ও নেতা-কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সফল করা হবে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের জন্য আবেদন করেছি। চেষ্টা চলছে, পাওয়াটা এখনো নিশ্চিত নয়। কাউন্সিলে সারা দেশের নেতা-কর্মী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সমর্থন পাচ্ছি। এ কাউন্সিলের মধ্যদিয়ে পার্টিকে সংগঠিত করা হবে। তৃণমূলে পার্টিকে সংগঠিত করে ডিসেম্বরে বা আগামী বছরের জানুয়ারিতে ঢাকায় মহাসমাবেশ ডাকা হবে।  এক বছরের মধ্যে ৬৮ হাজার গ্রামে দল ছড়িয়ে যাবে বলে আমরা আশাবাদী। তবে এটি সত্য একটি ঘুমন্ত শিশুকে জাগিয়ে তোলার জন্য কিছু সময়ের প্রয়োজন। সময়ের ব্যবধানে প্রমাণিত হবে জাতীয় পার্টি জনসমর্থনে কোনো দলের চেয়ে কম নয়। কাউন্সিলে দলে অনেক পরিবর্তন আসবে। স্তর বিন্যাস সময়োপযোগী করা হবে। আশা করছি পার্টির চেয়ারম্যান ২৫ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামে ত্যাগ স্বীকার করা নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করবেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর