ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্র দখল ও ভোট কারচুপি রোধে অপরাধীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ। গতকাল ইউপি ভোট নিয়ে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক বৈঠকে এমন নির্দেশনা দেন তিনি।
সভা শেষে সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, “সন্ত্রাসীদের রুখতে ‘প্রয়োজনে গুলি ব্যবহারের’ ক্ষমতার বিষয়টি তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। ভোট কেন্দ্র দখল, জাল ভোট ও কারচুপি কর্মকাণ্ড বরদাশত করা হবে না। আমি বলে দিয়েছি, এ ধরনের কিছু ঘটলে শেষ বুলেট পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তা প্রতিহত করবে।” স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, আনসার-ভিডিপি, কোস্টগার্ড, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, বিভাগ ও জেলা পর্যায়ের প্রশাসন এবং নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়ে শেরেবাংলানগরের এনইসি মিলনায়তনে এ বৈঠক করেন সিইসি। এ সময় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ৪ হাজার ২০০ ইউনিয়নে এবার ছয় ধাপে ভোট হচ্ছে। ২২ মার্চ প্রথম ধাপে ৭৩৪ ইউনিয়নে ভোট হবে। সিইসি বলেন, “যারা কেন্দ্র দখল করে রাতে কারচুপি করে, দিনে জাল ভোট দেয়, তারা ‘কোনো দলের নয়, তারা সন্ত্রাসী’। তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিতে প্রত্যেক সদস্যকে বলে দিয়েছি। অস্ত্রধারী সদস্যরা তা প্রতিরোধ করবে।” এ ধরনের ক্ষেত্রে পুলিশকে গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কিনা— জানতে চাইলে সিইসি জানান, ‘আইনেই তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের দায়িত্বের বিষয়ে সব বলা রয়েছে। অস্ত্র হাতে থাকলে তাদের কী দায়িত্ব, তা আইনে বলা রয়েছে— কীভাবে ব্যবহার করবে। এটার (গুলি চালানোর) নির্দেশ দেওয়া লাগে না। প্রয়োজনবোধে এর ব্যবহার করতে হবে, পরিষ্কারভাবে আইনে বলা রয়েছে।’
ভবিষ্যতে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা : ভবিষ্যতে বিভিন্ন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র অনলাইনে পূরণ ও জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অতি দ্রুত এটি কার্যকর করার কথা ভাবছে কমিশন। এটি হলে মনোনয়নপত্র জমাদানে আর কেউ বাধার সম্মুখীন হবেন না। সিইসি বলেন, ‘সম্প্রতি মনোনয়নপত্র জমাদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন অনলাইনে তা পূরণ ও জমা দেওয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছে। এখন এর সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। সব কিছু ঠিক থাকলে অতিদ্রুত এটি কার্যকর করা হবে।