আগামী অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের বিশেষ বিশেষ দিক তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আরও মেগা প্রকল্প আসছে ওই বাজেটে। এ জন্য আলাদা মূলধন কর্মসূচি রাখা হবে, যেটাকে ‘ক্যাপিটাল বাজেট’ বলা হচ্ছে। অন্তত ৫ থেকে ৬ বিলিয়ন ডলারের নতুন মেগা প্রকল্প বাজেটে থাকবে জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, এ জন্য প্রয়োজনে কিছুটা কঠিন শর্তের ঋণও নেওয়া হবে।
গতকাল শেরেবাংলানগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় আগামী বাজেটের এসব তথ্য দেন অর্থমন্ত্রী। আলোচনায় অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ, এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান, অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ এবং বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিনসহ আরও অনেকেই বক্তব্য রাখেন।
মুহিত বলেন, আমরা বাজেট নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছি। সবার সঙ্গে আলোচনা করেই বাজেট প্রণয়ন করা হবে। তবে এ বাজেটের আকার ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা হতে পারে। প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৭ দশমিক ২ শতাংশ।অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ৯০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে প্রথম বাজেট শুরু করে আজ ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকার বাজেট করতে যাচ্ছি। আমরা আশাবাদী এটা করতে পারব।’ অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, মেগা প্রকল্প নিচ্ছি এটা ভালো, কিন্তু বাস্তবায়নে দক্ষতা বাড়ানো উচিত। বাজেট বড় আকারের করা উচিত মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, বিনিয়োগ পরিস্থিতি খুবই দুর্বল। তাছাড়া সরকারি বিনিয়োগ ৭৫ শতাংশ হচ্ছে নির্মাণ খাতে। কিন্তু কী ধরনের নির্মাণ কাজ হচ্ছে তা ভেবে দেখার বিষয় আছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ জানান, চলতি অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়ন সঠিক পথে আছে। প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ অর্জিত হবে। ডিসেম্বর পর্যন্ত এনবিআর রাজস্ব ১৫ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। এনবিআরবহির্ভূত করও বেড়েছে। সঞ্চয়পত্র বিক্রি বেড়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকা। বাজেটের ঘাটতি অর্থায়ন লক্ষ্যমাত্রার মধ্যেই আছে। এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বলেন, আমরা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতামূলক কাজ করছি। কিছু কিছু ঝামেলা আছে, তা দূর করার চেষ্টা করছি। দেশের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আদায়ে এনবিআর কাজ করে যাচ্ছে।