বুধবার, ৯ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা
কাউন্সিল নিয়ে দুই দলে দুই চিত্র

ইউপি নির্বাচন নিয়েই ব্যস্ত আওয়ামী লীগ

লাকমিনা জেসমিন সোমা

আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল পিছিয়ে যাওয়ায় এবার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে দলটি। ২৮ মার্চ দলের ২০তম কাউন্সিল হওয়ার কথা থাকলেও অঘোষিতভাবেই তা পিছিয়ে গেছে। কেন্দ্রীয় নেতারা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন ইউপি নির্বাচন নিয়ে। অন্যভাবে বলতে গেলে, ইউপি নির্বাচনের কারণেই কাউন্সিল পেছানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলের নীতিনির্ধারকরা। আর সে কারণেই বেশ কয়েক দিন ধরে ইউপি নির্বাচনের কাজে সরগরম আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়। কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, অন্য সব নির্বাচনের মতো ইউপিতেও সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চায় আওয়ামী লীগ। সর্বোচ্চ শ্রম ও সাংগাঠনিক দক্ষতা দিয়ে নিজ দলের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে চান দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। সেই সঙ্গে কার্যকরভাবে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার পক্ষে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৮ মার্চ জাতীয় কাউন্সিল ঘোষণা করা হলেও এ নিয়ে দলের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দেয়। ২২ মার্চ ইউপি নির্বাচন সত্ত্বেও দলের একটি অংশ চায় যথাসময়েই দলের সম্মেলন  হোক। অপর একটি অংশ চায়, কাউন্সিল কিছুদিন  পেছানো  হোক। পেছানোর পক্ষে বেশির ভাগ নেতা মত দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত সেটিই হতে যাচ্ছে। এ নিয়ে গতকাল আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, আগামী শুক্র-শনিবার কার্যনির্বাহী সভার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানেই কাউন্সিলের সময় বা তারিখ নির্ধারণ করা হবে।  আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে কাউন্সিল হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তারিখ নির্ধারণ করা হতে পারে ৭ এপ্রিল। আর এই সময়ে না হলে তা পিছিয়ে রোজার ঈদের পর নেওয়া হবে বলেও জানান একাধিক নেতা। এদিকে ইউপি নির্বাচন নিয়ে এরই মধ্যে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের দলীয় প্রার্থীর জন্য সর্বাত্মক শ্রম দিয়ে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন দলের বিদ্রোহীদের দমাতে। তাদের স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ানোর কথা বলছেন তারা। নইলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে কেন্দ্র থেকে। জানা যায়, কেন্দ্রের নির্দেশে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাও দিন-রাত কাজ করছেন ইউপি নির্বাচন নিয়ে। আর এ নির্বাচনে দলকে বিজয়ী করতে বেশ আগেই বিভিন্ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন-সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় সমন্বয় করছেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। দলীয় সূত্রমতে, ইউপি নির্বাচন নিয়ে আজ সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি বোর্ডের সদস্যদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনে জয়ী হতে বৈঠকে বিভিন্ন নীতি ও কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হবে। সেই সেঙ্গ বিদ্রোহীদের ব্যাপারেও নানা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হতে পারে। ইউপি নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘যেহেতু আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থেকে সাত বছর ধরে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করছে, সুতরাং এ দেশের মানুষ এ দলকেই সমর্থন করবে। আশা করছি ইউপি নির্বাচনে আমাদের প্রার্থীরা সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জয়ী হবেন।’

সর্বশেষ খবর