মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় বহাল থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকার্য সম্পন্ন হয়, আর আমরা বারংবার সন্তুষ্ট হই। সেই একই ধারাবাহিকতায় কাসেম আলীর ফাঁসির রায়ে সরকার এবং বাংলাদেশের জনগণ সন্তুষ্ট। আমরা আশা করি, আইনি প্রক্রিয়ার নিষ্পত্তির মাধ্যমে এই রায় আমরা কার্যকর করতে পারব ইনশাল্লাহ। সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় বহাল রাখায় সাংবাদিকরা আইনমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে গতকাল সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন আনিসুল হক। আদালতে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে মন্তব্য না করতে সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সুপ্রিমকোর্ট একটি প্রতিষ্ঠান। সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিরা সেই ইনস্টিটিউশনের অংশ। যখন আদালতে কোনো ব্যাপার তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে আমরা সেটাকেই বলি সাব-জুডিস। এসব সাব-জুডিস ম্যাটারে কারও কোনো বক্তব্য দেওয়াটা ঠিক নয়। এতে এ প্রতিষ্ঠানের যদি কোনো সম্মান ক্ষুণ্ন হয় আমি মনে করি দেশের সম্মানও ক্ষুণ্ন হয়। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন এই বক্তব্য (দুই মন্ত্রীর) সরকারের নয়, সেহেতু আমি বলব আস্থাহীনতার কোনো অবকাশ এখানে নেই। মীর কাসেমের আপিলের রায় সামনে রেখে সরকারের দুজন মন্ত্রী সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে আলাদা বেঞ্চ গঠন করে পুনঃশুনানিরও দাবি তোলা হয়েছিল।’ রায় নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা একটা গণতান্ত্রিক সরকার। আমরা কখনোই বিচার বিভাগের কাজে কোনো হস্তক্ষেপ বা প্রেসার দেই না। তিনি বলেন, কাদের মোল্লার রিভিউ পিটিশনের রায়ে বলা হয়, রায়ের প্রত্যায়িত অনুলিপি প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে আসামি রিভিউ পিটিশন করতে পারবেন। আমরা অপেক্ষা করব এই ১৫ দিনের জন্য। তারা যদি রিভিউ পিটিশন দাখিল না করে তাহলে আমরা এই রায় কার্যকর করার ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তিনি বলেন, মীর কাসেম আলী রিভিউ আবেদন করলে তার শুনানি শেষে যে রায় হয় সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।