বুধবার, ৯ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

উচ্চ আদালতে যাচ্ছেন মান্না

নিজস্ব প্রতিবেদক

উচ্চ আদালতে যাচ্ছেন মান্না

রাষ্ট্রদ্রোহের দুই মামলায় কারাবন্দী নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার জামিন আবেদন নাকচ করা হয়েছে। গত ২ ও ৭ মার্চ মান্নার বিরুদ্ধে করা দুই মামলার জামিন আবেদন নাকচ করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত। এখন উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। দীর্ঘ এক বছর ধরে কারাগারে ডাকসুর সাবেক এই ভিপি। ঢাকা  কেন্দ্রীয় কারাগারের সাত নম্বর সেলের মেঝেতেই অসুখে-বিসুখে সময় কাটছে তার। মাহমুদুর রহমান মান্নার আইনজীবী অ্যাডভোকেট বেগ মাসুম জাহান গতকাল বিকালে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, ‘নিম্ন আদালতে জামিন নাকচ হয়ে যাওয়ায় আমরা এখন উচ্চ আদালতে যাব। সার্টিফাই কপি পেলেই ফাইল করব। আশা করি, সেখানে আমরা ন্যায় বিচার পাব।’

পরিবার ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে বনানীর এক আত্মীয়ের বাসা থেকে সাদা পোশাকের পুলিশ তাকে আটক করে। ১৮ ঘণ্টা নিখোঁজের পর তাকে পরদিন গ্রেফতার দেখানো হয়। ওইদিনই তার বিরুদ্ধে দুটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করা হয়। দুই মামলায় তাকে ২০ দিন রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনের ১৩ দিন পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এভাবে বিচারহীনভাবে তার একটি বছর কেটেছে। হাঁটু ও মেরুদণ্ডের ব্যথা, হার্টে ব্লক, ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে জর্জরিত মান্না। ডিভিশন দেওয়া হয়নি ডাকসুর সাবেক এই ভিপিকে। কারাগারে তার জায়গা হয়েছে মেঝেতে। রিমান্ডে নেওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন মান্না। তার হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়েছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় চোখে স্প্লিন্টার লাগায় তাকে লেন্স ব্যবহার করতে হয়।

মান্নার সুচিকিৎসা ও মুক্তি দাবি : কারাবন্দী মাহমুদুর রহমান মান্নার অসুস্থতা বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নাগরিক ঐক্য নেতৃবৃন্দ। একই সঙ্গে মান্নার সুচিকিৎসা ও অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেওয়ারও দাবি জানান তারা।

রাজধানীর শিশুকল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে গতকাল নাগরিক ঐক্যের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. ইসমাইল হোসেন (অব.) ও কামরুল হাসান ফরিদের মৃত্যুতে আয়োজিত এক শোকসভা থেকে এ দাবি জানানো হয়।

সর্বশেষ খবর