শনিবার, ১২ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

ডিস ব্যবসায়ীকে গুলি এএসআই বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিস লাইনের টাকা চাওয়ায় কেবল অপারেটর আল আমিনকে (১৮) গুলি করায় সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন বংশাল থানার এএসআই শামীম রেজা। তার সরকারি পিস্তল এ সময় জব্দ করা হয়েছে। রাজধানীর খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়া এলাকায় গতকাল সকালে এ ঘটনা ঘটে।

খিলগাঁও থানার ওসি মাইনুল হোসেন জানান, বংশাল থানার এএসআই শামীম রেজাকে আটক করা হয়েছে। তার পিস্তল জব্দ করা হয়েছে। এরপর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বংশাল থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিক বলেন, ঘটনার পর শামীম থানায় আসে। এ সময় তাকে আটক করা হয়। ঘটনার ব্যাপারে জানা গেছে, খিলগাঁও নন্দীপাড়ার ৫ নম্বর সড়কের ৯ নম্বর অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের চতুর্থ তলায় পরিবার নিয়ে থাকেন এএসআই শামীম। ওই ভবনের কেয়ারটেকার গিয়াস উদ্দিন জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হই হই শব্দ শুনে তিনি বাসা থেকে বেরিয়ে আসেন। তখন আল আমিন ছুটে এসে তাকে জানায় শামীম ২৫০ টাকা বিল দিতে চায়, কিন্তু তাদের রেট ৩০০ টাকা। তিন মাস ধরে বিল দেন না। বকেয়া বিল চাওয়ার কারণে বকা ঝকা করেছেন। ওই সময় এএসআই শামীম নিচে নেমে আসেন। তাদের মধ্যে আবার বাকবিণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে আল আমিনকে চড় মারেন শামীম। আল আমিন তাকে পাল্টা ধাক্কা দেয়। এ নিয়ে হইচই শুরু হলে ভবনের আরেক বাসিন্দা পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) এসআই নাহিদুর রহমান ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এক পর্যায়ে এএসআই শামীম তার পিস্তল বের করে গুলি চালান। পরে ভবনের তৃতীয় তলার আরেক বাসিন্দা গোয়েন্দা পুলিশের কনস্টেবল আনোয়ার হোসেন আল আমিনকে হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে থাকা অবস্থায় আহত আল আমিন জানান, এএসআই শামীম কয়েক মাসের বিল দেননি। সকালে তার কাছে বকেয়া বিল চাইতে গেলে বলেন, এত টাকা কেন? এক পর্যায়ে লাইন কেটে দিতে বলেন। নিচে এসে লাইন কেটে দিলে শামীম এসে বলেন, লাইন কেটে দিয়েছিস কেন? জবাবে বলি আপনিই তো কেটে দিতে বলেছেন। তখন আমার গালে চড় মারেন। এ সময় আমার সঙ্গে থাকা এক সহকর্মী বলে, ‘উনাকে চড় দিলেন কেন’? তখনই পিস্তল বের করে তিনি গুলি করেন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডা. মো. নাসির বলেন, তার জখম গুরুতর নয়। পিঠের বাঁ পাশে গুলি ঢুকে মাংসের ভিতর দিয়ে বেরিয়ে গেছে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে  ছেড়ে দিয়েছি।

সর্বশেষ খবর