রবিবার, ১৩ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

হাতিয়ায় ডাকাত সন্দেহে চারজনকে পিটিয়ে হত্যা

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় গণপিটুনিতে সন্দেহভাজন চার ডাকাত নিহত হয়েছে। এ সময় পুলিশের তিন কনস্টেবল ও দুই ডাকাত আহত হয়। শুক্রবার মধ্যরাতে বয়ারচরের চেয়ারম্যান ঘাট রিজার্ভ পুলিশ ক্যাম্পে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ ব্যপারে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে পালানোর চেষ্টা, অস্ত্র উদ্ধার ও হত্যা ঘটনায় হাতিয়া থানায় পৃথক তিনটি মামলার প্রস্তুতি চলছে জানিয়েছেন নোয়াখালী সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নবজ্যোতি খিসা। নিহত ও আহত ডাকতদের পাঁচজনের পরিচয় জানা গেছে। নিহতরা হলেন—জয়পুরহাট সদর উপজেলার বিশ্বাসপাড়া গ্রামের আবু বকর সিদ্দিক (২২), গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাঠবাড়ী গ্রামের সাইফুল ইসলাম সুজন (২২), চাঁপাইনবাবগঞ্জের নবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আকবর আলী (২৪) ও সুমন (২২)। এ ছাড়া আহত ডাকাত দিনাজপুরের চিরিরবন্দর থানার বড়ব গ্রামের আরিফুর রহমান (২২)। আহত পুলিশ কনস্টেবল কামরুল হাসান ও দুই ডাকাতকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশের আহত অপর দুই কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলম ও ফজলুল হককে ভর্তি করা হয়েছে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নোয়াখালী সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নবজ্যোতি খিসা জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ট্রলারযোগে সাত-আটজন ডাকাত হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটে আসার পর সন্দেহ হলে ছয়জনকে আটক করে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়। এ সময় আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১০টি দেশি অস্ত্র পাওয়া যায়। এরপর ছয় ডাকাতকে ক্যাম্পে নিয়ে পুলিশ রশি দিয়ে টেবিলের সঙ্গে বেঁধে রাখে। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার অস্ত্রগুলো টেবিলের ওপর রাখে পুলিশ। একপর্যায়ে বিদ্যুৎ চলে গেলে ডাকাতরা বাঁধন খুলে টেবিলের ওপর রাখা অস্ত্র দিয়ে পুলিশ সদস্যদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন ডাকাতদের চারদিক থেকে ঘিরে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই চার ডাকাতের মৃত্যু এবং অপর দুজন গুরুতর আহত হয়। এ ব্যাপারে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে পালানোর চেষ্টা, অস্ত্র উদ্ধার ও হত্যা ঘটনায় হাতিয়া থানায় পৃথক তিনটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সর্বশেষ খবর