সোমবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

বাঁশখালীতে সরকারের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাঁশখালীতে সরকারের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে

শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে সরকার। বরং বিদ্যুৎ সংযোগে অগ্রাধিকার পাবে শিল্প। সংযোগ পেতে শিল্পমালিকদের যেন সমস্য না হয়, এজন্য খোলা হবে কন্ট্রোলরুম। ব্যবসায়ীরা কন্ট্রোলরুমে হয়রানি বা সমস্যার বিষয়ে অভিযোগ জানাতে পারবেন। এ ছাড়া চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সরিয়ে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। বরং বাঁশখালী প্রকল্পের বিষয়ে সরকারের রয়েছে পূর্ণ সমর্থন। গতকাল রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এসব কথা বলেন। বাঁশখালী বিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কথা বলেই এ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সে সময় কোনো অভিযোগ আসেনি। প্রকল্পের জন্য সাড়ে ছয়শ একর জমি কেনা হয়েছে। ছয়শ একর জমির রেজিস্ট্রেশনও সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া প্রকল্প এলাকা সমুদ্রোপকূলে, সেখানে মানুষের বসতি কম, জমিও অনুর্বর। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে যেসব কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হচ্ছে তার সবই অনুর্বর জমিতে। ফলে মানুষের ক্ষতিও কম হবে। কিন্তু অপপ্রচার চালিয়ে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। যেহেতু বাঁশখালী প্রকল্পের কাজ অনেক দূর এগিয়েছে এবং অর্থ বিনিয়োগও হয়েছে, তাই এ প্রকল্প নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো ঠিক হবে না। নিহত গ্রামবাসীদের সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। তাদের প্রতিবেদন পাওয়ার পরই আমরা আমাদের অবস্থান জানাতে পারব। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আমরা বিদ্যুতের বিতরণব্যবস্থার উন্নয়নে জোর দিয়েছি। কারণ বিদ্যুৎ উত্পাদনের পুরোটা সরবরাহ হচ্ছে না। সরবরাহব্যবস্থার উন্নয়নে কয়েক বছর সময় লাগবে। এ ছাড়া কয়লা সোর্সিং নিয়েও কাজ করছি। কয়লার মূল্য নির্ধারণে কনসালট্যান্ট নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর