মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

চলতি বছর হজে যেতে পারবেন এক লাখ ১৭৫৮ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতি, ২০১৬ এবং হজ প্যাকেজ, ২০১৬-এর সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এর মাধ্যমে চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে যাওয়া হজযাত্রীর সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার কমিয়ে আনা হয়েছে। সৌদি সরকার বাংলাদেশি হাজীদের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ায় নতুন কোটা অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে এ বছর হজে যেতে পারবেন ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জন। এর আগে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ১৩ হাজার ৮৬৮ জনকে চলতি বছর হজে যাওয়ার বিষয়ে সরকার অনুমোদন দিয়েছিল। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতি, ২০১৬ এবং হজ প্যাকেজ, ২০১৬-এর সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। বৈঠক শেষে নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ১১ জানুয়ারি মন্ত্রিসভা জাতীয় হজনীতি ও হজ প্যাকেজের অনুমোদন দেয়। ওই সময় সরকারি ব্যবস্থাপনায় পাঁচ হাজার ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ আট হাজার ৮৬৮ জনকে হজে যাওয়ার অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এবার নীতিমালা সংশোধন করে হজযাত্রীর সেই সংখ্যা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এখন বাংলাদেশ থেকে হজে যেতে পারবেন ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯১ হাজার ৭৫৮ জন।

মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, সৌদি সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হজনীতিতে এই সংশোধন আনা হয়েছে। সব দেশের জন্যই সৌদি আরব এই পলিসি নিয়েছে। একই সঙ্গে হজ প্যাকেজেও আনা হয়েছে কয়েকটি সংশোধনী। তিনি বলেন, সংশোধিত হজ প্যাকেজ অনুযায়ী এখন দেড়শ হজযাত্রী না থাকলে কোনো এজেন্সি হজযাত্রী পাঠাতে পারবে না। আগে একেকটি হজ এজেন্সি সর্বনিম্ন ৫০ জন হজযাত্রী থাকলে তাদের হজে পাঠাতে পারত। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগে ব্যক্তিগতভাবে বা ব্যাংকে অর্থ জমা দিয়ে হজযাত্রীদের কোরবানির সুযোগ ছিল। এখন বাধ্যতামূলকভাবে ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে কুপন নিয়ে কোরবানি করতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে আর কোরবানি করা যাবে না। এ ছাড়া আরাফাতের ময়দানে ওয়াটার কুলার বসাতে প্রত্যেক হজযাত্রীর জন্য অতিরিক্ত দেড়শ সৌদি রিয়াল ব্যয় হবে। এই অর্থ হজযাত্রীদের অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ থেকে বহন করা হবে। এ জন্য আলাদা অর্থ নেওয়া হবে না। সৌদি সরকার জানিয়েছে, গরমের কষ্ট কমাতে ওয়াটার কুলারের ব্যবস্থা করবে তারা। তিনি বলেন, আবাসন, বাড়িভাড়া ও ক্যাটারিং খরচ বাবদ সব অর্থ অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে। অন্য কোনোভাবে লেনদেন করা যাবে না। এ ছাড়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রতি বছর ২৮ এপ্রিল ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস’ উদযাপনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর