মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

জাপায় হবে এক নেতার এক পদ

শফিকুল ইসলাম সোহাগ

জাপায় হবে এক নেতার এক পদ

জি এম কাদের

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, আগামী ১৪ মে জাতীয় পার্টির কাউন্সিল হবেই। এ নিয়ে আর কোনো শঙ্কা নেই। এই কাউন্সিলের মধ্যদিয়ে জাতীয় পার্টিতে এক নেতার এক পদের বিধান সৃষ্টি হবে। আর পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদসহ সবাইকে কাউন্সিলে আনার জন্য চেষ্টা চলছে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এ কথা বলেন তিনি।  জিএম কাদের বলেন, কাউন্সিলকে ঘিরে পার্টিতে উৎসবের পরিবেশ বিরাজ করছে। প্রস্তুতিও ভালো। গতকাল প্রচার কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সার্বিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আজ সভা ডাকা হয়েছে। বেলা ১১টায় পার্টির জাতীয় সম্মেলন ২০১৬ প্রস্তুতি কমিটি ও উপ-কমিটিগুলোর যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রস্তুতি কমিটির সব সদস্য ও সব উপ-কমিটির আহ্বায়ক, সদস্য সচিব ও যুগ্ম-আহ্বায়কদের যথাসময়ে উপস্থিত থাকতে পার্টির মহাসচিব ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার আহ্বান জানিয়েছেন। এতে সবার মতামত নেওয়া হবে। কাউন্সিলে পুরোদিনের কর্মসূচিও ঠিক করা হবে।  তিনি জানান, ইতিমধ্যে ডেলিগেটদের চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। কার্ড ছাপানো শেষ। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসনকে কাউন্সিলে আমন্ত্রণ জানানো হবে কিনা জানতে চাইলে বলেন, আমি চাই প্রতিটি দলের প্রধানসহ মহাসচিবকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য। রাষ্ট্রদূতদেরকেও দাওয়াত করা হবে। সবই আজ সভায় চূড়ান্ত হবে।

কাউন্সিলের আগে সব জেলা কাউন্সিল করা সম্ভব হবে কিনা জানতে চাইলে বলা হয়, কয়েকটি জেলার মেয়াদ শেষ হয়েছে এক মাস, দুই মাস। এগুলোর মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। অনেকগুলো অঙ্গসংগঠনের মেয়াদ শেষ অনেক আগেই, এগুলোর সম্মেলন না করেই সম্মেলন কীভাবে হবে জানতে চাইলে বলা হয়, যেগুলোর বাকি আছে সেগুলোকেও সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দলের কাউন্সিলের পর এসব অঙ্গসংগঠনের কাউন্সিল সম্পন্ন করা হবে। গঠনতন্ত্রে নতুন পদের সৃষ্টি হবে কিনা জানতে চাইলে জিএম কাদের বলেন, কো-চেয়াম্যান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এবং অতিরিক্ত মহাসচিবের পদ সৃষ্টি করা হবে। এ ছাড়া প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয় ভিত্তিক ছায়া সংগঠন হবে। আগেও বেশ কয়েকটি ছিল। এই কাউন্সিলের মধ্যদিয়ে দলে পূর্ণতা আসবে। এ ছাড়াও গঠনতন্ত্রের খসড়ায় এক নেতার এক পদ রাখার উদ্যোগ নিয়েছি। বিষয়টি কাউন্সিল এবং প্রেসিডিয়ামের সভায় পাস হতে হবে।

রওশনপন্থি গ্রুপটি ঘোষণা দিয়েছে, তাদের দাবি পূরণ না হলে এরশাদের কোনো সভা-সমাবেশে যোগ দেবেন না এ সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের কাউন্সিলে আনার জন্য যোগাযোগ করা হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। তার সঙ্গে এ নিয়ে কয়েক দফা কথা হয়েছে। আশা করছি ১৪ মে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে দলের কাউন্সিল সম্পন্ন হবে।

প্রচারণা কম কিনা জানতে চাইলে সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, এতদিন আমরা ভেন্যু পাচ্ছিলাম না। যেজন্য অনেক কাজই করা যাচ্ছিল না। এখন আমাদের ভেন্যু চূড়ান্ত। আগামী ১৪ মে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ডেলিগেটদের এ কথা জানানো হয়েছে। দেশবাসীকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হয়েছে। আর ব্যানার-ফেস্টুনের মাধ্যমে যে প্রচারণা আমরা করব তাও সময়মতো হবে। সম্মেলনে পার্টির সর্বস্তরের নেতা-কর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষী দেশবাসীকে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানান তিনি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর