রিও অলিম্পিকে অংশ নিতে মাইকেল ফেল্পস যখন পা রাখেন রিও ডি জেনিরো শহরে, তখন ত্রিশোর্ধ্ব মার্কিন সাঁতারুকে নিয়ে খুব বেশি স্বপ্ন দেখেননি কেউ। সাঁতারে ৩১ বছর বয়স অনেক বেশি। তাই স্বপ্ন দেখাটা একটু বেশিই। কিন্তু অন্য ধাতুতে গড়া ফেল্পস যে টার্গেট নিয়ে পা রাখেন রিওতে, গতকাল ২০০ মিটার মিডলেতে সোনা জিতে তার শতভাগ পূরণ করেছেন। গতকালের সোনাটি এবারের গেমসে তার চার নম্বর এবং ক্যারিয়ারের ২২ নম্বর। রেকর্ড গড়া এবং ভাঙা এখন ফেল্পসের জন্য মামুলি বিষয়। তিনি জলে নামেন, ডাঙায় ওঠেন রেকর্ড গড়ে। গতকাল তিনি সোনা জেতেন ১ মিনিট ৫৪.৬৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে। রুপা জেতেন জাপানের কোসুকে হাগিনো ১ মিনিট ৫৬.৬১ সেকেন্ডে এবং ব্রোঞ্জ জেতেন চীনের ওয়াং শুন ১ মিনিট ৫৭.০৫ সেকেন্ড সময়ে। এবারের আসরে ফেল্পসের প্রথম সোনা ৪ গুণিতক ১০০ মিটার ফ্রি স্টাইল রিলেতে। দ্বিতীয় সোনা জেতেন ২০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ে। তৃতীয় সোনা ৪ গুণিতক ২০০ মিটার ফ্রি স্টাইলে এবং গতকাল চতুর্থ সোনা জিতলেন। তার সোনার পদক সংখ্যা ২২ এবং সব মিলিয়ে পদক সংখ্যা ২৬টি। যাতে ২টি করে রুপা ও ব্রোঞ্জও রয়েছে। ফেল্পস প্রথম আসেন ২০০৪ সালে এথেন্স অলিম্পিকে এবং প্রথম আসরেই বাজিমাত করেন ৬ সোনা জিতে। ২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকে জেতেন ৮টি সোনা, ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিকে ৪টি সোনা এবং এবার এখন পর্যন্ত ৪ সোনা। পদক সংখ্যায় ফেল্পসের পর রয়েছেন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মহিলা জিমন্যাস্ট লারিসা লাতিনিনার। তার পদক সংখ্যা ১৮টি। ৯টি করে সোনা জিতেছেন লাতিনিনা ছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাথলেট কার্ল লুইস, সাঁতারু মার্ক স্পিত্জ, নরওয়ের দূরপাল্লার দৌড়বিদ পাভো নুরমি। এক ইভেন্টে ৪টি সোনা জয়ের রেকর্ডও গড়েছেন ফেল্পস। ২০০ মিটার মিডলেতে ২০০৪, ২০০৮, ২০১২ ও ২০১৬ সালে সোনা জিতেছেন সাঁতারের রাজা ফেল্পস। অবশ্য একই ইভেন্টে ৪টি করে সোনা জেতার রেকর্ড রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কার্ল লুইসের লং জাম্পে এবং ডিসকাস থ্রোতে অ্যাল আর্টারের। ফেল্পস যেভাবে কীর্তি রেখে যাচ্ছেন, সেটা কি ভবিষ্যতে কারও পক্ষে ভাঙা সম্ভব? যদিও রেকর্ড হয় ভাঙার জন্য। তাই সময় বলবে আরেক ফেল্পসের জন্ম হয় কিনা?