পাঁচ দিনের দুর্ভোগের পর অবশেষে নৌ ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন নৌযান শ্রমিকরা। গতকাল গভীর রাতে মালিকপক্ষের মজুরি বাড়ানোর আশ্বাসে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
রাজধানীর দৈনিক বাংলার শ্রম ভবনে সরকারের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের এক বৈঠকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। শ্রম পরিদফতরের পরিচালক যুগ্ম সচিব এস এম আশরাফুজ্জামান জানান, মালিকপক্ষ মজুরি বাড়ানোর আশ্বাস দেওয়ায় শ্রমিক নেতারা ধর্মঘট প্রত্যাহারে রাজি হয়েছেন। নৌ ধর্মঘট আহ্বানকারী নৌ-শ্রমিক সংগ্রাম ফেডারেশনের আহ্বায়ক ওয়াজেদুল ইসলাম জানান, ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে শ্রম প্রতিমন্ত্রী ও মালিকরা দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সব পক্ষই কিছুটা ছাড় দিয়েছে। তাতে সর্বোচ্চ ‘ক’ শ্রেণির সর্বনিম্ন বেতন ধরা হয়েছে ৯৭৫০ টাকা, ‘গ’ শ্রেণির ৭৭৫০ টাকা এবং ‘খ’ শ্রেণির বেতন এখনো ঠিক করা হয়নি। তবে ‘ক’ ও ‘গ’ শ্রেণির মাঝামাঝি তা ঠিক করা হবে। এ সিদ্ধান্ত হওয়ার পর সব নৌপরিবহন চলাচলে আর কোনো বাধা নেই। শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক জানান, ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়েছে। শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে। যা ১ জুলাই ২০১৬ থেকে কার্যকর করা হবে। নৌ ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শ্রমিকরা। উল্লেখ্য, বেতন-ভাতা বাড়ানোসহ ১৫ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিকরা টানা এই ধর্মঘট পালন করছিলেন। ‘নৌশ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ’-এর ব্যানারে গত সোমবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে এ ধর্মঘট শুরু করা হয়েছিল।