ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, রামপাল নিয়ে ইউনেস্কোর প্রতিবেদন জাতিসংঘের মহাসচিব অনুমোদন করেছেন। সেই প্রতিবেদন যে রামপাল বিদ্যুেকন্দ্রের বিরুদ্ধে, তা প্রমাণিত। এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে বলেই জাতিসংঘ এটা করেছে। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক সুলতানা কামাল, অধিকার কর্মী খুশী কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম এম আকাশ, অধ্যাপক বদরুল ইমাম, সিপিবি নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আবদুল মতিন। সংবাদ সম্মেলনে সুলতানা কামাল বলেন, রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুেকন্দ্র নিয়ে প্রচারিত সরকারি বিজ্ঞাপনটি ‘প্রতারণামূলক’। মিথ্যা তথ্যের ওপর এই বিজ্ঞাপন নির্মিত হয়েছে। এটা অবশ্যই বন্ধ করা উচিত। রামপাল বিদ্যুেকন্দ্রের কারণে সুন্দরবনের ক্ষতির আশঙ্কাটি অমূলক দাবি করে সরকারের একটি বিজ্ঞাপন রেডিও-টেলিভিশনে প্রচার হচ্ছে। সুন্দরবনকে বাংলাদেশের ‘প্রাকৃতিক বর্ম’ উল্লেখ করে সুলতানা কামাল বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় এই বন তার বুক পেতে দিয়ে আমাদের লাখ লাখ মানুষ, প্রাণ ও সম্পদকে রক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করেছে। অথচ সেই সুন্দরবনকে সরকার কয়লা বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়ার মতো আত্মঘাতী ও স্ববিরোধী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আসলে সুন্দরবন প্রশ্নে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান আর জলবায়ু প্রশ্নে তার অবস্থান ও আকাঙ্ক্ষা পরস্পরবিরোধী। কারণ, জলবায়ু সংকট মোকাবিলা করতে হলে সুন্দরবনকে অক্ষত রাখা আমাদের প্রধান ও পরম দায়িত্ব।