বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে বেগম খালেদা জিয়ার দেওয়া প্রস্তাব নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি সৃষ্টির সুযোগ নেই। বিএনপির প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির কাজকে সহায়তা করবে। গতকাল দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎ চেয়ে গতকাল বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করীম শাহীনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনের চিঠিপত্র প্রদান শাখায় একটি আবেদন দিয়ে আসে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত চিঠিতে খালেদা জিয়ার প্রস্তাব নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। আবেদনটি লেখা হয়েছে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিবের কাছে। মির্জা ফখরুল গতকালের সংবাদ সম্মেলনে জানান, খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার গত রবিবার রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিবের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছিলেন। তিনি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিএনপির তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাতের সময় চেয়েছিলেন। সামরিক সচিব এ বিষয়ে কিছু জানাননি। সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, রাষ্ট্রপতির সাক্ষাতের জন?্য যোগাযোগ করেও বঙ্গভবনের সাড়া না পাওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা খর্ব করার জন্য কোনো প্রস্তাব করা হয়নি। আমাদের প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির কাজকে সহায়তা করবে এবং তার ভাবমূর্তিকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখবে। প্রস্তাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের ব্যাপারে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাকে কোনোভাবে সীমাবদ্ধ করা বা কোনো প্রকার ব্যত্যয় ঘটানোর চেষ্টা করা হয়নি। আমরা রাষ্ট্রপতিকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করি এবং এ অবস্থান আমাদের দৃষ্টিতে অলঙ্ঘনীয়।
বিএনপি মহাসচিব আহ্বান জানিয়ে বলেন, অহেতুক কালক্ষেপণ না করে, একগুঁয়েমি পরিত্যাগ করে জাতির মঙ্গলের জন্য প্রতিনিধিত্বশীল পার্লামেন্ট গঠন অপরিহার্য। সে কারণেই শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য স্বাধীন, নিরপেক্ষ, সাহসী নির্বাচন কমিশনের কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, বিএনপির প্রস্তাব সংবিধানকে সামনে রেখেই করা হয়েছে। সংবিধান লঙ্ঘিত হয়েছে বলে আমরা মনে করি না।সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল জয়নাল আবেদীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।