সোমবার, ৯ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
থানায় ঝুলিয়ে নির্যাতন

দুই পুলিশকে তলব

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘুষ না পেয়ে থানায় বেঁধে এক নাগরিককে নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় যশোরের দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে ২৫ জানুয়ারি তলব করেছে হাইকোর্ট। এ ঘটনায় সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গতকাল বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক এবং বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। কোতোয়ালি থানার এসআই নাজমুল ও এএসআই হাদিবুর রহমানকে ওইদিন আদালতে হাজির হয়ে ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। ওই ঘটনায় যশোর কোতোয়ালি থানার এসআই নাজমুল ও এএসআই হাদিবুর রহমানের বিরুদ্ধে কেন আইন অনুযায়ী ব?্য?বস্থা নেওয়া হবে না—তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত। স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি, যশোরের এসপি, কোতোয়ালির ওসি এবং অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস?্যকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। যে যুবকের ওপর নির্যাতন করা হয়েছিল বলে সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে, সেই আবু সাঈদকেও ওইদিন হাইকোর্টে হাজির করতে বলা হয়েছে। ৪ জানুয়ারি রাতে আবু সাঈদকে আটকের পর তার কাছে ঘুষ দাবি ও তা না পেয়ে তাকে নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে ৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ প্রতিদিনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদ নজরে এলে আদালত এ বিষয়ে আদেশ দেয়।

‘ঘুষ না পেয়ে থানায় যুবককে ঝুলিয়ে পেটাল পুলিশ’ শিরোনামে বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত ওই সংবাদে বলা হয়, দাবিকৃত ঘুষের টাকা দিতে অস্বীকার করায় থানায় আটক এক যুবককে বেঁধে উল্টো করে ঝুলিয়ে পিটিয়েছে যশোর কোতোয়ালি পুলিশ। দুই লাখ টাকা ঘুষ দাবি করা হলেও শেষ পর্যন্ত আবু সাঈদ (৩০) নামের ওই যুবক ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছাড়া পেয়েছেন। আবু সাঈদ যশোর সদর উপজেলার তালবাড়িয়া গ্রামের নুরুল হকের ছেলে। পুলিশ সূত্র জানায়, কোতোয়ালি থানার এসআই নাজমুল ও এএসআই হাদিবুর রহমান বুধবার রাতে আবু সাঈদকে আটক করেন। পরে তার কাছে দুই লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন ওই দুই কর্মকর্তা। ঘুষ দিতে অস্বীকার করায় আবু সাঈদকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে থানার মধ্যে দুই টেবিলের মাঝে গাছের মোটা ডালের সঙ্গে বেঁধে উল্টো করে ঝুলিয়ে পেটানো হয়। পরে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ওই রাতেই ছাড়া পান আবু সাঈদ।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর