আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পাশের দেশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশে ই-ভোটিং ব্যবস্থা চালু রয়েছে। উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে এবং ভালো ও গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়া বলেই আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে ই-ভোটিং ব্যবস্থা চালুর প্রস্তাব দিয়েছি।’ গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য বিরাজমান সব বিধিবিধানের সঙ্গে জনগণের ভোটাধিকার অধিকতর সুনিশ্চিত করার স্বার্থে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ই-ভোটিং চালু করার পক্ষে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব তুলে ধরেছি। আমাদের প্রস্তাব রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করবেন কিনা, সে সিদ্ধান্ত তিনিই নেবেন।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সংবিধান ও দেশের বিরাজমান সব আইন-কানুনের ওপর শ্রদ্ধাশীল। রাষ্ট্রপতির সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের সুগভীর প্রজ্ঞা ও সুবিবেচনার প্রতি আওয়ামী লীগের পরিপূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত যে কোনো ন্যায়সঙ্গত উদ্যোগের প্রতি আওয়ামী লীগের পরিপূর্ণ সমর্থন থাকবে। তিনি উল্লেখ করেন, ‘ই-ভোটিং পদ্ধতি আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে তাই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব তুলে ধরেছি। অন্য দল মানবে কিনা তা আমাদের দেখার বিষয় নয়। রাষ্ট্রপতি কী করবেন সে সিদ্ধান্ত তিনিই জানেন। এ ব্যাপারে আমাদের কিছু বলার নেই, মন্তব্যও করতে চাই না।’ আমাদের নির্বাচন কমিশনের ই-ভোটিং করার ক্ষমতা রয়েছে কিনা— জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এরই মধ্যে রাজশাহী, নরসিংদী, চটগ্রামসহ বেশকিছু জায়গায় ই-ভোটিং বা ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে। বর্তমান প্রযুক্তিতে ই-ভোটিং ব্যবস্থার জন্য নির্বাচন কমিশনের সামর্থ্য আছে। ই-ভোটিং ব্যবস্থা আগামীতে চালু করা যেতে পারে। আর এর জন্যই আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব রেখেছি। ই-ভোটিং পদ্ধতিতে ভোট হলে নিরপেক্ষতা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে।’