টাঙ্গাইলের তরুণ নেতা মুরাদ সিদ্দিকী আওয়ামী লীগের টিকিটে নৌকার মাঝি হয়ে মানুষের সেবা করতে চাইছেন। তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগের ঘরে জন্ম গ্রহণ করেছি। আওয়ামী লীগে ছিলাম, আওয়ামী লীগেই আছি, থাকবও। আমি নৌকার মাঝি হয়ে মানুষের সেবা করতে চাই।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশা করে তিনি এ প্রতিনিধিকে তার এই প্রত্যাশার কথা জানান। তার পক্ষে তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম মিতুল বলেন, মুরাদ সিদ্দিকীই টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী ও গতিশীল করে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে উজ্জীবিত রাখতে পারবেন। তৃণমূল নেতা প্রশান্ত পাল চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী পরিবারের ছেলে মুরাদ সিদ্দিকী আওয়ামী লীগের বাইরে থাকতে পারেন না। তাকে নৌকার মাঝি হিসেবে দেখতে চাই। মাহমুদ মামুন খান জানান, রাজনৈতিক আদর্শের ব্যক্তি হিসেবে মুরাদ সিদ্দিকীকে আওয়ামী লীগের বাইরে রাখা কোনোভাবেই ঠিক নয়। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে মুরাদ সিদ্দিকী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে ৪০ হাজার ৪৫৬ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে ছিলেন। বিগত ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচনেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ গ্রহণ করেন মুরাদ সিদ্দিকী। বিরোধী দল এ নির্বাচনে অংশ না নিলেও মুরাদ সিদ্দিকীর ইমেজের কাছে সরকারি দলের প্রার্থী বেকায়দায় পড়ে যান। মুরাদ সিদ্দিকী ৫৯ হাজার ৩৯৮ ভোট পেয়ে সামান্য ব্যবধানে হেরে যান।
স্থানীয় ও দলীয় সূত্রগুলো জানায়, গত তিনবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হেরে গেলেও মুরাদ সিদ্দিকী রাজনৈতিক কোন হানাহানি বা কলহের মধ্যে না গিয়ে মিশে থেকেছেন মাঠের মানুষের সঙ্গে। তিনি নিয়মিত সাধারণ মানুষের খোঁজখবর রাখছেন। নির্বাচন করে জয়ী কিংবা পরাজিত হওয়ার পর ভোটারদের আর খোঁজখবর রাখেন না অধিকাংশ নেতা। সেদিক থেকে মুরাদ সিদ্দিকী ব্যতিক্রম। তিনি পরাজিত হওয়ার পরও সাধারণ মানুষের খোঁজখবর রাখছেন এবং সেবা করে চলেছেন। শহরাঞ্চল থেকে শুরু করে চরাঞ্চলের সাধারণ মানুষ নিয়মিত মুরাদ সিদ্দিকীর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। এসব কারণে আওয়ামী লীগ পরিবারে জন্ম নেওয়া এ নেতার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।