গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগদলীয় এমপি মনজুরুল ইসলাম লিটন হত্যায় সন্দেহভাজন হিসেবে আরও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ভোরে রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির (পশ্চিম) হাজী ইউনুস আলীর ছেলে আশরাফুল ও তার সহযোগী সর্বানন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার জহিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে র্যাব। এ ছাড়া গাইবান্ধা জেলা পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে সাদুল্যাপুরের প্রতাপ গ্রামের মনিরুল ইসলাম রতন এবং শিবরামপুর গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। র্যাব-১ অধিনায়ক তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ জানান, গ্রেফতার আশরাফুল ও জহিরুল এমপি লিটন হত্যার ঘটনার প্রধান সন্দেহভাজন। গ্রেফতারের পর সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে। লিটন হত্যাকাণ্ডের পর জামায়াত নেতা ইউনুসের দুই ছেলে শিবির ক্যাডার আশরাফুল ও শহিদুল বাড়ি থেকে সটকে পড়েন। তারা দুজনই ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারিতে সংঘটিত বামনডাঙ্গা পুলিশফাঁড়ির চার পুলিশ হত্যা মামলার আসামি। তবে আশরাফুলের পরিবার বলছে, তিনি ঢাকায় ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ শেষ বর্ষের ছাত্র।
নাশকতা মামলার দুই আসামি গ্রেফতার : এমপি লিটন হত্যা মামলায় গতকাল সাদুল্যাপুরের প্রতাপ গ্রামের মনিরুল ইসলাম রতন এবং শিবরামপুর গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে গাইবান্ধা পুলিশ। পুলিশ বলছে, মনিরুল ইসলাম রতন সাদুল্যাপুরের তাহেরপুর গ্রামে আত্মগোপন করে ছিলেন। লিটন নিহত হওয়ার পর থেকেই রতনকে গ্রেফতারের জন্য খুঁজছিল পুলিশ।
গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন : এমপি লিটনের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে গতকাল সুন্দরগঞ্জের জামালহাট থেকে কালিতলা বাজার পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এলাকার শত শত নারী-পুরুষ এতে অংশ নেন। মানববন্ধনে বক্তারা এমপি লিটন হত্যার ১৩ দিন অতিবাহিত হলেও প্রকৃত খুনি গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।চার নেতার খোঁজ মেলেনি : নিখোঁজ হওয়ার চার দিনেও খোঁজ মেলেনি গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার চার নেতার। নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন সাদুল্যাপুর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও দামোদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনোয়ারুল হাসান জিম মণ্ডল, নলডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাইদুল ইসলাম প্রিন্স, দামোদরপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সাদেক এবং নলডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক শফিউল ইসলাম শাপলা। এ চার নেতাকে ফিরে পেতে অপেক্ষায় রয়েছেন তাদের স্বজনরা। নিখোঁজদের সম্পর্কে কোনো তথ্য ও সন্ধান দিতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।