শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

সফর শেষে ফিরে গেলেন মাহমুদ আব্বাস

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

সফর শেষে ফিরে গেলেন মাহমুদ আব্বাস

তিন দিনের সফর শেষে গতকাল বিকালে ঢাকা ত্যাগ করেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। বিমানবন্দরে তাকে ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে বিদায় জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গার্ড অব অনার দিয়েছে সেনাবাহিনীর চৌকস দল। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে বুধবার ঢাকায় এসেছিলেন ইয়াসির আরাফাতের উত্তরসূরি মাহমুদ আব্বাস। রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে প্রথম স্বীকৃতি দেওয়া বাংলাদেশকে ভবিষ্যতে সব সময় কাছে পাওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে ঢাকায় আসা অতিথি প্রেসিডেন্টকে পুরোপুরি আশ্বস্ত করেছে বাংলাদেশ।

জানা যায়, গতকাল বেলা পৌনে ৩টায় একটি বিশেষ বিমানে মাহমুদ আব্বাস ও তার সফরসঙ্গীরা হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যান। বিমানে ওঠার আগমুহূর্তে ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে তাকে বিদায় জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমানবন্দরে মাহমুদ আব্বাসকে বিদায় জানাতে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব সুরাইয়া বেগম ও পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক।

সফরকালে মাহমুদ আব্বাস বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন এবং বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সরকারি পর্যায়ের আলোচনায় ফিলিস্তিন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন। এ সময় ফিলিস্তিন ইস্যুতে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইসরায়েলের সাম্প্রতিক ভূমিকার নিন্দাও জানান তিনি। গতকাল সফরের শেষ দিনে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন। এর আগের দিনই মাহমুদ আব্বাস শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সফরে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে নিয়মিত আলোচনা অনুষ্ঠানে আন্তসরকার যৌথ কমিটি গঠনে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনের দরবার হলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশভোজে যোগ দেন মাহমুদ আব্বাস।

প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সফরসঙ্গীদের মধ্যে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. রিয়াদ আল মালিকি, প্রধান বিচারপতি মাহমুদ এস এ আলহাব্বাশ, প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র নাবিল আবুরুদাইনাহ, কূটনৈতিক উপদেষ্টা ড. মাজদি এ এম খালিদি, চিফ সিকিউরিটি অফিসার মেজর জেনারেল শেহাদা ইসমাইল, চিফ অব প্রটোকল অ্যাম্বাসেডর হোসেইন হোসেইন ও প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. নাইম সাদকি হোসেইন।

 

সর্বশেষ খবর