সোমবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যার রোমহর্ষক ভিডিও

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

শুক্রবার, রাত তখন সাড়ে ৮টা। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন ছাত্রদল কর্মী ডন হাসান। আচমকা তার সামনে উদয় হয় কয়েকজন দুর্বৃত্ত। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তারা তাকে কোপানো শুরু করে। একের পর এক কোপে রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ডন। ডন হাসানকে হত্যার এ দৃশ্য ধরা পড়েছে পার্শ্বস্থ একটি দোকানের সিসি ক্যামেরায়। তাতে দেখা যায়, লুটিয়ে পড়লেও থামেনি ঘাতকের অস্ত্রের আঘাত। ডন হাসানের নিথর দেহে আঘাত করে যেতে থাকে ঘাতকরা। এতে মৃত্যু হয় ডনের। ভিডিও চিত্রটিতে দেখা যায়, অন্তত পাঁচ যুবক সংঘবদ্ধভাবে হামলা করে। তাদের হাতে ছিল ধারালো অস্ত্র। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ডনের উপর উপর্যুপরি আঘাত হানে তারা। রক্তে ভেসে যায় পিচঢালা পথ। মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আরও তিনটি আঘাত করা হয় ডনকে। মৃত্যু নিশ্চিত জেনে পাঁচ ঘাতক দ্রুত পালিয়ে যায়। এ সময় আশপাশের অনেকে ঘটনাটি দেখলেও সাহস করে কেউ এগিয়ে আসেননি। সিলেট মহানগরীর কোতোয়ালি থানার ওসি সোহেল আহমদ বলেন, ভিডিও ফুটেজটি আমাদের হাতে এসেছে। আমরা ঘাতকদের চিহ্নিত করেছি। ঘটনার পর আটককৃত তিনজনের মধ্যে দুজন আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। এদিকে ডন হাসান হত্যার ঘটনায় ১৬ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। শনিবার কোতোয়ালি থানায় মামলাটি  করেন ডনের মা জাহেরা বেগম। মামলায় আটক তিনজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ওসি  সোহেল বলেন, গত শুক্রবার রাতে ঘটনার পর নাজমুল হোসেন সাজু, রাব্বি ও সাথীকে আটক করা হয়। মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। শনিবার আদালতে সাজু ও রাব্বি স্বীকারোক্তি দিয়েছে। সাথীর রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। ঠিক কি কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা নিশ্চিত করতে পারেননি ওসি। তিনি বলেন, আদালতে যে দুজন স্বীকারোক্তি দিয়েছে, সেই কপি আমরা এখনো পাইনি। স্বীকারোক্তির কপি পাওয়ার পর বিস্তারিত বলা যাবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর