সোমবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগকে সমর্থনের প্রতিদান জেল জরিমানা : এরশাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, ’৯১ সালে জেলে থেকে নির্বাচন করি। ’৯৬ সালেও জেলে থেকে নির্বাচিত হই। তখন জেলের দরজা খুলে দিয়ে আওয়ামী লীগকে সমর্থন না করে বিএনপিকে সমর্থন দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু আমার ও জাতীয় পার্টির প্রতি যে অত্যাচার করেছে সেজন্য বিএনপিকে সমর্থন না দিয়ে আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছিলাম। কিন্তু বিনিময়ে কী পেলাম। বিনিময়ে পেলাম ছয় মাস জেল আর পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা। আর নির্বাচনে অযোগ্য। এ হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রতিদান। গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে যুব সংহতির ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সম্মেলনে আলমগীর শিকদার লোটন সভাপতি ও ফখরুল আহসান শাহজাদা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক আলমগীর সিকদার লোটনের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব ফকরুল আহসান শাহাজাদার সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন জাপার সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ফয়সল চিশতি, মশিউর রহমান রাঙ্গা, উপদেষ্টা রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, যুব সংহতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এ টি এম রফিকুল ইসলাম, যুবনেতা ডা. আবুল কাসেম, তিতাস মোস্তফা, এ কে এম মোস্তফা, আবদুল হামিদ প্রমুখ। এরশাদ বলেন, কর্মের অভাবে যুবকরা হতাশায় নিমগ্ন। দেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে ধাবিত হচ্ছে। আমরা সেদিকে দৃষ্টি দিচ্ছি না। ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার কথা থাকলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। চাকরি হলেও দিতে হয় ঘুষ। দেশের ৮৫ ভাগ নারী আজ নিগৃহীত। সমাজে কোথাও শান্তি নেই, নিরাপত্তা নেই। কে কখন গুম হয়ে যায় তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। জানমালের নিশ্চয়তা নেই। কত মায়ের বুক খালি হচ্ছে। রওশন এরশাদের বক্তব্য চলাকালে কর্মীরা এরশাদের মামলা প্রত্যাহারের স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় রওশন এরশাদ কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, বক্তব্য দিতে দাঁড়ালেই এসব কর। মামলার বিষয়ে পাবলিকলি কিছু বলা যায় না। আমি বিরোধী দলের নেতা হয়েছি মাত্র তিন বছর। এর আগে এরশাদের মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে কার কাছে বলতে? কিছু জানতে চাইলে বাসায় এসো, তখন বলব। এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, জোট গঠন করে ৩০০ আসনে নির্বাচন করবে এইচ এম এরশাদের জাতীয় পার্টি। তবে স্বাধীনতাবিরোধী কারও সঙ্গে জোট করা হবে না। বাকি সবার জন্যই জাতীয় পার্টির দরজা খোলা রয়েছে। জোট গঠন করেই আগামীতে পার্টির চেয়ারম্যানকে ক্ষমতায় আনতে হবে। জাতীয় ঐক্যজোট ছাড়া কেউ ক্ষমতায় যেতে পারবে না।

সর্বশেষ খবর