শনিবার, ২৪ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা
আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

আবারও সরকার গঠনের সুযোগ দিন : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

আবারও সরকার গঠনের সুযোগ দিন : প্রধানমন্ত্রী

আগামী নির্বাচনেও ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ একে অপরের পরিপূরক। উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগকে আবারও সরকার গঠন করতে হবে। দেশবাসীকে বলব, আওয়ামী লীগকে আবারও দেশসেবা করার সুযোগ দিন। গতকাল সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ১১তলা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে তিনি এ আহ্বান জানান। এর আগে সকাল ৯টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। সারা দেশেও সাদামাটাভাবে পালিত হয় দলের কর্মসূচি।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের অগ্রগতি এনে দিয়েছে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এটা কেবল আওয়ামী লীগই পারে। জাতি যেন তা মনে রাখে। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে গড়ে ওঠার তাগিদ দিয়ে দলের সভাপতি বলেন, দেশের সেবা করুন, মানুষের সেবা করুন। কী পেলাম, কী পেলাম না: সেটি বড় কথা নয়। দেশকে, মানুষকে কী দিতে পারলাম; সেটিই বড় কথা। 

যারা বিভিন্ন সময়ে বঙ্গবন্ধুর সমালোচনা করেছিলেন, তাদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা তখন লিখেছিল বঙ্গবন্ধু সফল বিপ্লবী, দক্ষ সংগঠক, কিন্তু ভালো শাসক নন; তারা হয় স্বাধীনতাবিরোধী ছিল, না হয় স্বাধীনতা বিরোধীদের দোসর হিসেবে কাজ করেছিল। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যেতে হবে।

বাংলাদেশকে ‘উদীয়মান সূর্য’ অভিহিত করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। কিন্তু আমি জানি, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এখনো অনেক ষড়যন্ত্র চলছে। স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি, তাদের পদলেহনকারী ও দালালদের অভাব নেই। তারা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, তারা ষড়যন্ত্র করবেই। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ দেশকে স্বাধীন করেছে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন দেশের জন্য যা যা করা দরকার, করে গিয়েছিলেন। তিনি যদি আর পাঁচটি বছর বেঁচে থাকতে পারতেন, তাহলে তখনই বাংলাদেশ উন্নত, সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হতো। তিনি বলেন, এদেশের যা কিছু অর্জন আওয়ামী লীগই এনে দিয়েছে। এই সংগঠনই বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার পথ দেখাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ একে-অপরের পরিপূরক।

অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য  শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহারা খাতুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু ভবন এবং বঙ্গবন্ধু এভিনিউসহ সারা দেশে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শুরু করে আওয়ামী লীগ। এর পর সকালে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফুল দেওয়ার পর দলীয় সভাপতি হিসেবে নেতাদের নিয়ে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সকাল সাড়ে ৯টায় টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনকের সমাধিতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষে  শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, শ্রম সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, কেন্দ্রীয় সদস্য এসএম কামাল হোসেন ও আমিরুল ইসলাম মিলন। বাদ জুমআ বঙ্গবন্ধুর মাজার সংলগ্ন মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করেন জাতির জনকের ভাতিজা শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি ও কেন্দ্রীয় নেতা এসএম কামাল হোসেন।

সর্বশেষ খবর