শুক্রবার, ৩০ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

স্বস্তি দিয়ে বাজেট পাস

নতুন ভ্যাট আইন স্থগিত ♦ আবগারি শুল্ক কমিয়ে চার লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট

নিজস্ব প্রতিবেদক

জনমনে স্বস্তি দিতে দুই বছরের জন্য নতুন ভ্যাট আইন স্থগিত রেখে এবং ব্যাংক আমানতে আবগারি শুল্কহারসহ বেশকিছু পণ্যের আমদানি শুল্কহার কমিয়ে জাতীয় সংসদে গতকাল ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট পাস হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের উপস্থিতিতে ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার এই বাজেট পাস করার জন্য অর্থমন্ত্রী প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়। এ সময় সংসদে সভাপতিত্ব করছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্যরা টেবিল চাপড়ে অর্থমন্ত্রীকে সমর্থন ও স্বাগত জানান। এটি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত উত্থাপিত টানা নবম বাজেট। ৮৪ বছর বয়সী অর্থমন্ত্রী এই বাজেটকে নিজের ‘সর্বশ্রেষ্ঠ বাজেট’ বলে দাবি করেন। তবে এবারই সবচেয়ে বেশি সমালোচনা সইতে হয়েছে তাকে। বিশেষ করে ভ্যাট আইন ও ব্যাংক আমানতে আবগারি শুল্ক নিয়ে। বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্যদের বাইরে ?নিজ দল আওয়ামী লীগ, এমনকি মন্ত্রিসভার সহকর্মীরাও সংসদে ভ্যাট আরোপ ও ব্যাংক আমানতে শুল্ক বৃদ্ধিকে নির্বাচনবিরোধী বলে সমালোচনা করেন। সরকারি ও বিরোধীদলীয় এমপিদের দাবির মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় অর্থমন্ত্রী বুধবার অর্থবিল ও গতকাল নির্দিষ্টকরণ বিল পাসের আগে নতুন ভ্যাট আইন স্থগিত, আবগারি শুল্ক কমানোর প্রস্তাবসহ বেশ কয়েকটি সংশোধনী আনেন। ১ জুন এ বাজেট সংসদে উত্থাপিত হয়। এক মাস আলোচনার পর গতকাল পাস হয়।

আগামীকাল ১ জুলাই থেকে এ বাজেট কার্যকর হবে। এর আগে বাজেটে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মঞ্জুরি দাবির ওপর বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা ৫৯টি ছাঁটাই প্রস্তাব ও ৩২৫টি দাবি উত্থাপন করেন। এর মধ্যে আলোচনার জন্য সাতটি দাবি গৃহীত হয়। বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা এসব দাবিতে আলোচনা করেন। আলোচনার পর ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট ব্যয়ের বাইরে সরকারের বিভিন্ন ধরনের সংযুক্তি দায় মিলিয়ে সংযুক্ত তহবিল থেকে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ২১৪ কোটি ১৫ লাখ ৯২ হাজার টাকার নির্দিষ্টকরণ বিল পাস করা হয়।

৪ লাখ কোটি টাকার এই বাজেটের মধ্যে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ১৩ কোটি টাকা, যার ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকা যাবে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি)। আর অনুন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৩৪ হাজার ১৩ কোটি  টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত অনুন্নয়ন বাজেটের চেয়ে ২১ শতাংশ বেশি। এই অনুন্নয়ন ব্যয়ের মধ্যে ৫৩ হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধেই যাবে, যা মোট অনুন্নয়ন ব্যয়ের ২২ শতাংশ। বিশাল এই ব্যয়ের প্রায় ৭২ শতাংশ অর্থ রাজস্ব খাত থেকে আদায়ের লক্ষ্য ঠিক করেছেন অর্থমন্ত্রী। বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে দুই লাখ ৮৭ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে কর হিসেবে দুই লাখ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা আদায় করা যাবে বলে আশা করছেন অর্থমন্ত্রী। বাজেটে মোট রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৯১ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। চলতি বাজেটে এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২ লাখ ৩ হজার ১৫২ কোটি টাকা। এনবিআর-বহির্ভূত খাত থেকে কর রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৬২২ কোটি টাকা। করবহির্ভূত খাত থেকে রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৩১ হাজার ১৭৯ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। চলতি বাজেটে জিডিপির লক্ষ্য ছিল ৭ দশমিক ২ শতাংশ। পরিকল্পনা কমিশন ইতিমধ্যে আভাস দিয়েছে, চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছর শেষে ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে। আগামী অর্থবছর প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৪ শতাংশ, যা বিগত চার দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এ ছাড়া বাজেটে মূল্যস্ফীতির চাপকে ৫ দশমিক ৫ শতাংশে ধরে রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

নতুন এই বাজেটে অনুন্নয়নমূলক ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৩৪ হাজার ২৬২ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা। তবে স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোর অর্থায়নে আরও ১০ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। সে হিসেবে মোট এডিপির আকার ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৫ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে, যা জিডিপির ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। এ বাজেটে সার্বিক ঘাটতি ধরা হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা। এ ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক উৎস থেকে ৫১ হাজার ৯২৪ কোটি এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৬০ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা জোগান দেওয়া হবে। অভ্যন্তরীণ উেসর মধ্যে ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে ২৮ হাজার ২০৩ কোটি, সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও অন্যান্য ব্যাংকবহির্ভূত উৎস থেকে ৩২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা সংস্থানের ব্যবস্থা রেখেছেন অর্থমন্ত্রী।

নির্দিষ্টকরণ বিল পাস : আগামী অর্থবছরের বাজেট ব্যয়ের বাইরে সরকারের বিভিন্ন ধরনের সংযুক্ত তহবিল থেকে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ২১৪ কোটি ১৫ লাখ ৯২ হাজার কোটি টাকার নির্দিষ্টকরণ বিল কণ্ঠভোটে পাস হয়।

মঞ্জুরি দাবি ও ছাঁটাই প্রস্তাব : আগামী অর্থবছরের বাজেটের ওপর সংসদে উত্থাপিত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ খাতের ৩২৫টি মঞ্জুরি দাবির বিপরীতে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা ৫৯টি ছাঁটাই প্রস্তাব আনেন। এর মধ্যে সাতটি দাবি আলোচনার জন্য গৃহীত হয় এবং বাকি ছাঁটাই প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। বাজেট পাস হওয়ার পর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত স্পিকারের অনুমতি নিয়ে দাঁড়িয়ে সংসদ সদস্যদের সবাইকে বাজেটোত্তর নৈশভোজে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান।

খাতওয়ারি বরাদ্দ : সংযুক্ত বিল ৫ লাখ ৩৫ হাজার ২১৪ কোটি ১৫ লাখ ৯২ হাজার টাকা ব্যয়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যয় ধরা হয় অর্থ বিভাগে। এ বিভাগের ব্যয় ২ লাখ ৬ হাজার ৫৩০ কোটি ৮৬ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। ব্যয়ের দিক থেকে সবচেয়ে কম হচ্ছে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে। এ খাতে ব্যয় ২১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। অনুমোদিত ব্যয় পর্যায়ক্রমে হচ্ছে প্রতিরক্ষায় ২৫ হাজার ৭৪০ কোটি ৭৫ লাখ ৮ হাজার এবং স্থানীয় সরকার বিভাগে ২৪ হাজার ৬৭৪ কোটি ১১ লাখ টাকা। অন্য খাতের ব্যয়ের মধ্যে জাতীয় সংসদ খাতে ৩১৪ কোটি ৯১ লাখ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় খাতে ১ হাজার ৪৫৭ কোটি ৬৩ লাখ ৮৪ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ৯৫ কোটি ৫ লাখ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে ১ হাজার ৭০ কোটি ৮০ লাখ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ২ হাজার ৪৮ কোটি ৪১ লাখ, সরকারি কর্মকমিশন খাতে ৭৪ কোটি ২২ লাখ টাকা। অর্থ বিভাগে মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক কার্যালয় খাতে ১৯৬ কোটি ৫ লাখ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে ২ হাজার ২০৬ কোটি ৩ লাখ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে ২ হাজার ৫৪০ কোটি ৬৩ লাখ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ খাতে ১০ হাজার ৯৮১ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।

পাশাপাশি পরিকল্পনা বিভাগে ১ হাজার ৩৩২ কোটি ৫৭ লাখ; বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগে ১০০ কোটি ৫৩ লাখ; পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে ৫১৮ কোটি ৭ লাখ; বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ৬১১ কোটি ৮৯ লাখ; পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ১ হাজার ১৮৯ কোটি ৩০ লাখ; সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে ৩০ কোটি ৪১ লাখ; আইন ও বিচার বিভাগে ১ হাজার ৪২৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা ধরা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ ১৮ হাজার ২৮৭ কোটি ৮৮ লাখ, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগে ২১ কোটি ৮৭ লাখ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ২২ হাজার ২৩ কোটি ২৮ লাখ ১৯ হাজার, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে ২৩ হাজার ১৪৭ কোটি ৯৫ লাখ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় খাতে ১১ হাজার ৩৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা খাতে ১৬ হাজার ২০৩ কোটি ৩৬ লাখ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে ৩ হাজার ৯৭৩ কোটি ৬৮ লাখ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় খাতে ৪ হাজার ৮৩৩ কোটি ৭৩ লাখ, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় খাতে ২ হাজার ৫৭৫ কোটি ৮৫ লাখ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় খাতে ২৬২ কোটি ৮৭ লাখ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় খাতে ৩ হাজার ৭৩৪ কোটি ৮৪ লাখ, তথ্য মন্ত্রণালয় খাতে ১ হাজার ১৪৫ কোটি ৯৯ লাখ এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৪১৭ কোটি ৭৭ হাজার টাকা। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৬৫৮ কোটি ৯২ লাখ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় খাতে ১ হাজার ৩৮৭ কোটি ১৫ লাখ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগে ১ হাজার ৮৮৪ কোটি ৯০ লাখ, শিল্প মন্ত্রণালয়ে ১ হাজার ৮২৪ কোটি ৯০ লাখ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে ৮৯৫ কোটি ২৮ লাখ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে ২ হাজার ২২৪ কোটি ৩৩ লাখ, কৃষি মন্ত্রণালয়ে ১৩ হাজার ৬০৪ কোটি ১৬ লাখ, মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় খাতে ১ হাজার ৯২৯ কোটি ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় খাতে ১ হাজার ১২০ কোটি ৫৬ লাখ, ভূমি মন্ত্রণালয় খাতে ১ হাজার ৮৫৮ কোটি ৫৪ লাখ ৫৪ হাজার, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে ৫ হাজার ৯২৬ কোটি ৪৪ লাখ, খাদ্য মন্ত্রণালয়ে ১৪ হাজার ৪০২ কোটি ৯ লাখ ৮১ হাজার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৮ হাজার ৮৫৩ কোটি ১২ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। এ ছাড়া সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে ১৯ হাজার ৬৯৭ কোটি ২১ লাখ, রেলপথ মন্ত্রণালয়ে ১৬ হাজার ১৩৫ কোটি ৯ লাখ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে ২ হাজার ৭৩২ কোটি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে ৬৮৬ কোটি ৮৬ লাখ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে ২ হাজার ৫২২ কোটি ৯৪ লাখ, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ১ হাজার ১৫০ কোটি ১৮ লাখ ৬১ হাজার, বিদ্যুৎ বিভাগে ১৮ হাজার ৮৯৪ কোটি ৪২ লাখ, সুপ্রিম কোর্টে ১৬৫ কোটি ১৬ লাখ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ৩ হাজার ৯৮৬ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে ৬৮৭ কোটি ৫৯ লাখ, দুর্নীতি দমন কমিশন খাতে ১০১ কোটি ৭১ লাখ, সেতু বিভাগে ৮ হাজার ৪২৯ কোটি ৯৩ লাখ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে ৫ হাজার ২৭০ কোটি ৯৩ লাখ, সুরক্ষা সেবা খাতে ২ হাজার ৮৮২ কোটি ৯৭ লাখ এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৪ হাজার ৪৭৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এর আগে বুধবার সংসদে অর্থবিল, ২০১৭ পাস হয়; যে বিলে করসংক্রান্ত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর