বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ

—শাহাদাত হোসেন চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো ধরনের চাপ আসবে না বলে আশা ব্যক্ত করেছেন অন্যতম নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী (অব.)। তিনি বলেন, ‘চাপ এলেও যেটুকু আমাদের প্রয়োগ করার ক্ষেত্র আছে তা করব। এ ব্যাপারে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এ ছাড়া নির্বাচনের আগে আমরা একটা নির্ভুল ভোটার তালিকা দিতে চাচ্ছি।’

গতকাল নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।

শাহাদাত চৌধুরী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো চাপ আমরা পাইনি। নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা প্রদানে সরকারের যে দায়িত্ব তা আমরা পাব। এখন পর্যন্ত আমরা সেটা বুঝতে পারছি।’ তিনি বলেন, ‘২৫ জুলাই ময়মনসিংহ থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু হবে। বিগত ভোটার তালিকা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন যে, হয়তোবা কিছু বাদ পড়েছেন কিংবা নারী ভোটারের সংখ্যা কিছুটা কম। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, মৃত ভোটারদের তালিকা থেকে হয়তো বাদ দেওয়া হয়নি। এ ধরনের সমস্যা আমরা জানতে পারছি। সুতরাং আমরা একটা নির্ভুল ভোটার তালিকা আগামী নির্বাচনের আগে দিতে চাচ্ছি।’ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আইনেই আছে তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি যাবেন। তাই কারও মধ্যে কোনো ধরনের প্রশ্ন যেন না থাকে, সেজন্য তথ্য সংগ্রহকারীদের বাড়ি বাড়ি পাঠিয়ে তথ্য সংগ্রহ করব। এজন্য পারিশ্রমিক বাড়িয়ে দিয়েছি। দলীয় কার্যালয়ে ভোটার করা হলে তা হবে দণ্ডনীয় অপরাধ।’ রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়া ঠেকাতে ও নারী ভোটারদের সংখ্যা বাড়াতে কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন— জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভোটার তালিকার শিডিউল অনুযায়ী কেন্দ্র থেকে জেলা, উপজেলা, বিভাগসহ সব জায়গায় কমিটি করে দেওয়া আছে। বিশেষ অঞ্চলগুলোর জন্যও বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয় করে কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের বিষয়টা নতুন করে উঠছে যে, তারা অনেক জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছেন। তাদের সংখ্যাও বেড়ে গেছে। তাই এ ব্যাপারে খুব কেয়ারফুল (যত্নবান) যাতে তারা কোনোভাবেই ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে না পারেন। কারণ ভোটার হলেই তারা জাতীয় পরিচয়পত্র পাবেন। সেই ভোটারের সুবাদে তারা আবার পাসপোর্ট পাবেন। বিষয়টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে বিশেষ অঞ্চলগুলোয় কমিটি করে দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘নারীদের ভোটার হওয়ার জন্য প্রচার বাড়াচ্ছি। এজন্য মসজিদ-মন্দিরে প্রচার চালানো হবে। স্বামীরাও যাতে তাদের উৎসাহ দেন সে ব্যবস্থাও করা হবে। কারণ কেউ ভোটার না হলে জাতীয় পরিচয়পত্র পাবেন না। আর জাতীয় পরিচয়পত্র না পেলে এ সম্পর্কিত সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হবেন।’ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের উদ্দেশ্য হলো আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তাদের বক্তব্য জানা। তাদের কাছ থেকে আমরা শুনব, জানব। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কী করতে পারি তা চিন্তা করব।’ তিনি বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের কাজটা সুষ্ঠুভাবে করতে পারি তাহলে আমার বিশ্বাস ভোটাররা আস্থা ফিরে পাবেন।’ আসন্ন নির্বাচনে সবাই অংশ নেবেন বলেও দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন এই নির্বাচন কমিশনার।

সর্বশেষ খবর