বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

জবানবন্দির সঙ্গে তথ্যের মিল নেই

পুলিশ কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক

জবানবন্দির সঙ্গে তথ্যের মিল নেই

ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ‘ফরহাদ মজহারের অপহরণ নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। তিনি যে জবানবন্দি দিয়েছেন, এর সঙ্গে তদন্তে পাওয়া তথ্য-প্রমাণের মিল নেই। আইজিপি স্যার দু-এক দিনের মধ্যেই এ বিষয়ে সুস্পষ্ট তথ্য সাংবাদিকদের মাধ্যমে দেশবাসীকে জানাবেন।’

গতকাল দুপুরে ডিএমপির সদর দফতরে শিক্ষাবৃত্তি কার্যক্রম বিষয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ফরহাদ মজহার বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় যে জবানবন্দি দিয়েছেন, তা তদন্ত করতে গিয়ে আমরা যে ভিডিও ফুটেজ, সিসিটিভি ফুটেজ, কললিস্ট ও বস্তুগত সাক্ষ্য-প্রমাণ পেয়েছি, এর সঙ্গে তার বক্তব্যের মিল নেই।’ প্রাপ্ত তথ্যের বিচার-বিশ্লেষণ চলছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে তথ্য সংগ্রহ করেছি। এই তথ্যের বিচার-বিশ্লেষণ চলছে। সঠিক সিদ্ধান্তে আসার জন্য আমাদের আরও দু-এক দিনের মতো সময় লাগবে।’ প্রসঙ্গত, ৩ জুলাই সোমবার ভোর সোয়া ৫টার দিকে রাজধানীর আদাবর রিং রোড এলাকার হক গার্ডেনের নিজ বাসা থেকে বের হন ফরহাদ মজহার। এরপর একটি সাদা মাইক্রোবাসে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে তুলে নিয়ে যায়। বিষয়টি তিনি স্ত্রী ফরিদা আখতারকে মুঠোফোনে জানান। যশোর থেকে উদ্ধারের পর ৪ জুলাই ফরহাদ মজহার পুলিশের কাছে ১৬১ ধারা ও আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে বলেন, চোখের ওষুধ কিনতে সোমবার ভোরে রাজধানীর শ্যামলীর রিং রোডের বাসা থেকে তিনি বের হন। এরপর শ্যামলীর কাছ থেকে তিনজন অপরিচিত লোক জোর করে তাকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। তার চোখ বেঁধে গাড়ির সিটে বসানো হয়। তিনি নিজেই অপহরণকারীদের টাকা দিয়ে মুক্তি পেতে চান। এর কিছুক্ষণ পরই তিনি স্ত্রীর মুঠোফোনে কল দিয়ে নিজের অপহরণ হওয়ার কথা জানান। তাকে মেরে ফেলা হবে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। পরে তিনি কয়েক দফায় ফোন দিয়ে মুক্তি পেতে ৩৫ লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলেন। আদালতে ১৬৪ ধারায় ভিকটিম হিসেবে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দেওয়ার পর তাকে চিকিৎসার জন্য বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ফরহাদ মজহারের স্ত্রী ফরিদা আখতার বাদী হয়ে ৩ জুলাই রাতেই আদাবর থানায় অপহরণ মামলা করেন। ওই মামলার তদন্তভার প্রথমে আদাবর থানা ও পরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর