উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে হাওয়া আক্তারের (২১) ইচ্ছা ছিল ডিগ্রিতে ভর্তি হওয়া। কিন্তু তার অষ্টম শ্রেণি পাস স্বামী রফিকুল ইসলামের ঈর্ষা আর বর্বরতায় হারাতে হলো ডান হাতের পাঁচ আঙ্গুল। সংসার সামলিয়েও পড়াশোনায় ইতি টানতে চাননি বলে উপহার দেওয়ার নাম করে কেটে দেন হাতের আঙ্গুল। হাওয়ার এই নির্যাতনের কাহিনীতে তোলপাড় বিশ্বমিডিয়া।
ডেইলি মেইলে প্রকাশিত খবরে বলা হয় : রাজধানী ঢাকার গৃহবধূ হাওয়া আক্তারের ডিগ্রি পড়ার ইচ্ছাকে বরাবরই বাধা দিতেন স্বামী রফিকুল। সংযুক্ত আরব আমিরাত-প্রবাসী রফিকুল ইসলাম আগেই হাওয়া আক্তারকে হুমকি দেন, যদি সে পড়াশোনা বন্ধ না করে তাহলে তার জন্য খারাপ ফল অপেক্ষা করছে। হাওয়া আক্তার বলেন, দেশে ফেরার পর সে আমার সিদ্ধান্ত জানতে চায়। সিদ্ধান্তে অটল থাকায় হঠাৎ সারপ্রাইজ দেওয়ার কথা বলে তার চোখ বেঁধে ফেলে রফিকুল। মুখ আটকে দেয় স্কচটেপ দিয়ে। এর পরই সারপ্রাইজের পরিবর্তে সে হাত বের করতে বলে। হাত বের করার সঙ্গে সঙ্গে ডান হাতের পাঁচটি আঙ্গুলই কেটে ফেলে। এ সময় রফিকুল ইসলামের এক নিকটাত্মীয় আঙ্গুলগুলো নিয়ে ডাস্টবিনে ফেলে দেয়; যাতে চিকিৎসকরা আর বিচ্ছিন্ন আঙ্গুলগুলো জোড়া লাগাতে না পারেন।
পুলিশ কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন জানান, এ অপরাধে ইতিমধ্যে রফিকুল ইসলামকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরপর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নির্যাতনের কথা স্বীকার করেছেন। হাওয়ার স্বামীর বিরুদ্ধে স্থায়ীভাবে অঙ্গহানির অভিযোগ আনা হবে। তিনি আরও জানান, হাত হারানোর পরও পড়াশোনা চালিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর হাওয়া আক্তার হাসপাতাল থেকে ফিরে গেছেন পিতা-মাতার সংসারে।