বৃহস্পতিবার, ৩ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

ভাড়াটিয়া যখন ভয়ঙ্কর

বাসা-জমি উদ্ধারের নামে মালিককেই বের করে দেয়। মার্কেট, পেট্রলপাম্প কিছুই বাদ যাচ্ছে না বেদখল থেকে। জড়িত সরকারি দলের নেতা-কর্মী, সন্ত্রাসী ও পুলিশের কিছু সদস্য

মির্জা মেহেদী তমাল ও সাখাওয়াত কাওসার

ভাড়াটিয়া যখন ভয়ঙ্কর

রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুরের শের শাহ সুরি রোডের ৩৪ নম্বর বাড়ি। বাড়ির মালিক হোসেন মোহাম্মদ। ১৯৯৮ সালে টিনশেড বাড়িটির এক পাশে ভাড়া নেন স্থানীয় সেনিটারি মিস্ত্রি সিরাজুল ইসলাম। বিগত পাঁচ বছর ধরে এই সিরাজুল ইসলাম ভাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেন। শুধু তাই নয়, বাড়িওয়ালা যেন ওই বাড়িতে না আসতে পারেন, সে জন্য বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখান। হোসেন মোহাম্মদ তার বাড়ির দখল ফিরে পেতে বিভিন্ন স্থানে ছোটাছুটি করলেও কাজ হয়নি। পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন, ভাড়াটিয়া সিরাজুল স্থানীয় প্রভাবশালী একটি দখলবাজ চক্রের সঙ্গে মিশে বাড়িটি আত্মসাতের চেষ্টা করছেন। বাড়ির মালিক হয়েও হোসেন মোহাম্মদ এখন বাড়িছাড়া। চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ বলিরপাড়ার সিডিএ আবাসিক এলাকা। ১/১ নম্বর সড়কে ৫ গণ্ডা জমির ওপর রয়েছে একটি চারতলা ও একটি সেমিপাকা একতলা ভবন (নবী সাহেবের বাড়ি)। জমির মালিক চার ভাই-বোন হাসিনা আকতার নিগার, রাশেদ মো. নবী, আসমা উল হুসনা এবং রিয়াজ মো. নবী পেশাগত কারণে বিভিন্ন স্থানে থাকায় বাড়িটির দেখাশোনা করতে জনৈক সামসুল আলমকে দায়িত্ব দেন। কিন্তু এই সামসুল আলমই এখন পুরো বাড়িটি আত্মসাতের চেষ্টা করছেন। সাব রেজিস্ট্রার অফিসের জালিয়াত চক্র ও স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় জমিসহ বাড়ি দখলের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাড়ি দখলের এ দুটি ঘটনাই শুধু নয়; এরকম অসংখ্য ঘটনা ঘটছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। সরকারি দলের নেতা-কর্মী, সন্ত্রাসী ও সাব রেজিস্ট্রার অফিসের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর জোগসাজশে গঠিত দখলবাজির ভয়ঙ্কর চক্র সারা দেশেই এখন সক্রিয়। তাদের সহযোগিতা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু অসাধু সদস্য। প্রভাবশালী চক্রটি বাসা-বাড়ি থেকে শুরু করে মার্কেট বাজার এমনকি পেট্রলপাম্প পর্যন্ত দখল করে নিচ্ছে। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সারা দেশে চলছে এই চক্রের দখলবাজির মহোৎসব। সংশ্লিষ্টরা বলছে, প্রভাবশালী একটি মহল সাধারণ মানুষের জমি-বাড়ি-মার্কেট টার্গেট করে মাঠে নেমেছে। তারা বিভিন্ন কৌশলে দেশের বিভিন্ন স্থানে জমি দখল করছে। জমির প্রকৃত মালিকরা পুলিশের সাহায্য না পেয়ে আদালতে যান। তাদের জীবনের বড় অংশই চলে যায় আদালতের বারান্দায় ঘুরতে ঘুরতে। কিন্তু বেদখল পৈতৃক জমি বা ভবনের মালিকানা আর ফিরে পান না তারা। অনুসন্ধানে জানা যায়, ভুয়া দলিল ছাড়াও মামলা-মোকদ্দমা বা ডিসপুট জমি উদ্ধারের কথা বলে এই চক্রটি মালিকের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে মালিককে বের করে দিয়ে নিজেরাই জমি বা ভবনের মালিক বনে যায়। এসব দখলবাজির নেপথ্যে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা থাকায় প্রকৃত মালিকরা অসহায় হয়ে পড়েন। ভুক্তভোগীরা বলছেন, দখলবাজরা প্রভাবশালী হওয়ায় তারা বিচার পাচ্ছেন না। পুলিশের কাছে গেলে তারা আদালতে যেতে বলেন। খোদ রাজধানীতেই প্রভাবশালী দখলবাজ চক্র বাসা-বাড়ি থেকে শুরু করে পেট্রলপাম্প পর্যন্ত দখল করেছে, অভিযোগ রয়েছে। তেজগাঁও এলাকায় সরকারি দলের একজন কাউন্সিলরের নামে চারতলা ভবনের দোতলা দখল করে নেওয়া হয়েছে। সৌদিয়া সুপার মার্কেটের পাশের এই ভবনটির মালিকানা নিয়ে বিরোধ ছিল দীর্ঘদিন ধরে। বিরোধ সমাধানের কথা বলে কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ আলমগীর ওই ভবনের নিয়ন্ত্রণ নেয়। একপর্যায়ে চারতলা ভবনের দোতলা দখল নিয়ে কাউন্সিলরের নামে একটি সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে দেয়। কাউন্সিলরের কার্যালয় লেখা থাকলেও সেখানে কাউন্সিলর বসেন না। ফুটপাথ ব্যবসায়ীদের কাছে গোডাউন হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। একই ভাবে বেশ কয়েকটি দোকান দখল করে নিয়েছে আলমগীর। রায়ের বাজারের হাবিবুর রহমান হাসু একই কায়দায় দখলবাজি করে যাচ্ছেন। বসিলার মেট্রো হাউজিংয়ে জাহাঙ্গীর ও মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীরের ৪ ও ৫ কাঠার প্লট দখল করে নেয় হাসু। এমন বহু মানুষ আজ পথে বসেছে এই হাসুর দখলবাজিতে। চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ বলিরপাড়ার সিডিএ আবাসিক এলাকায় উত্তরাধিকার সূত্রে বাড়ির মালিক হাসিনা আক্তার নিগার এবং তার অপর তিন ভাই-বোন। বাড়ির দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল জনৈক সামসুল আলমকে। তাকে সাধারণ আমমোক্তার মূলে আমমোক্তার নিয়োগ করা হয়। কিন্তু সামসুল আলম জাল জালিয়াতির মাধ্যমে স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসীর সহায়তায় পুরো জমিসহ ভবন দুটি আত্মসাতের চেষ্টা করে। বিষয়টি ফাঁস হয়ে গেলে বাড়ির মালিক হাসিনা আক্তার নিগার আইনের আশ্রয় নেন। তিনি আমমোক্তার নামা বাতিল করেন। কিন্তু সামসুল আলম আমমোক্তার নামা বাতিলের বিষয়টি গোপন করে সাব রেজিস্ট্রার অফিসের জালিয়াত চক্রের সহায়তায় নিজের মেয়ে এবং মেয়ের জামাইর নামে পুরো জমি রেজিস্ট্রি করিয়ে নেন। নজিরবিহীন এ ঘটনাটি নিয়ে সাব রেজিস্ট্রার অফিসে তোলপাড় শুরু হয়। যাচাই-বাছাই না করে কীভাবে সাব রেজিস্ট্রার জমিটি ভুয়া মালিককে রেজিস্ট্রি করে দিলেন, এ নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। জমি ও বাড়ির মূল মালিক হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা এ নিয়ে থানা কোর্টে ছোটাছুটি করতে করতে ক্লান্ত। যোগাযোগ করা হলে ভুক্তভোগী হাসিনা আক্তার নিগার বলেন, প্রথম কয়েক বছর সামসুল আলম সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলেও পরবর্তীতে তার দুরভিসন্ধি আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়। চলতি বছরের ২৩ মার্চ তাকে আমমোক্তারের (পাওয়ার অব অ্যাটর্নি) দায়িত্ব হতে অপসারণ করি। এর বিপরীতে ওই ব্যক্তি ৪ এপ্রিল আমমোক্তার বাতিলের লিগ্যাল নোটিসের প্রতিউত্তরে দায়সার গোছের আরেকটি লিগ্যাল নোটিস পাঠিয়ে সবধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। আমমোক্তারনামা বাতিলের পর সামসুল আলম এলাকার সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগসাজশে সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করে। কিন্তু সে বিভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে প্রচার করে যে, তার জামাতা সম্পত্তি কিনে নিয়েছে এবং ভাড়াটিয়াদের ভাড়া দিতে নিষেধ করে। এতে গত ১২ জুলাই ১৪৫ ধারায় একটি মামলা করি। এর পাল্টা জবাবে উক্ত ব্যক্তি তার কন্যাকে বাদী করে আরেকটি মামলা করে ১৪৫ ধারায়। সেই মামলার কাগজপত্র থেকে জানা যায়, আমমোক্তারনামা বাতিলের তথ্য গোপন করে সাব রেজিস্ট্রার অফিসের জালিয়াত চক্রের সাহায্যে তার মেয়ে ও জামাতাকে এক কোটি পয়ষট্টি লাখ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে আমাদের সম্পত্তি বিক্রয় করে দেয় ১৩ জুলাই। এ বিষয়ে ২৩ জুলাই সাব রেজিস্ট্রারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি তেমন কোনো সন্তোষজনক উত্তর প্রদান করেননি। শুধু জাল দলিলের অনুকূলে প্রতিকার প্রার্থনার আবেদন গ্রহণ করে। প্রশ্ন উঠেছে, সম্পত্তির দলিল সম্পাদনের আগে সাব  রেজিস্ট্রার কী করে কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়া এ ধরনের দলিল সম্পাদন করে। হাসিনা বলেন, আজ আমরা অসহায় হয়ে নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছি। পিডিবির সাবেক কর্মচারী হয়েও সে প্রচুর টাকার মালিক। নানাভাবে সে প্রশাসনকে কেনার চেষ্টা করছে।

আরও দখল : রাজধানীর কাঁঠালবাগান এলাকার ৩৯ নম্বর ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের সাড়ে চার কাঠা জমির দখল নিয়ে তুলকালাম কাণ্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে। বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে আদালতের স্থিতাবস্থার পরও বেদখল হয়েছে। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনজুরের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ওই জমিতে থাকা স্থাপনা ভাঙচুর করে শিরিন গংকে জমির দখল বুঝিয়ে দেন। পরে লাগিয়ে দেওয়া হয় সাইনবোর্ড। এর ঠিক দুই দিন পর আবারও পুলিশের উপস্থিতিতে দিনদুপুরেই সন্ত্রাসীরা এ কে এম শফিকুল ইসলাম নামের জমির এক দাবিদারকে বেধড়ক মারপিট করে। দুই দিনের ঘটনার একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) আপলোড করেন ভুক্তভোগীসহ আরও কয়েকজন। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের অনেক বাসিন্দা ভুক্তভোগী শফিকুলের ওপর নির্যাতন ও হয়রানির প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও ক্ষমতাসীন দলের থানা আওয়ামী লীগ ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রভাবশালী দুই নেতার মদদে চলে এই তাণ্ডব। হামলার শিকার এ কে এম শফিকুল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমার মা মরহুমা আছিয়া বেগম আমাকে ২০০৩ সালে ৩৯ নম্বর হোল্ডিংয়ের সাড়ে চার কাঠার মধ্যে আড়াই কাঠা জমি দান করেন। পরবর্তীতে আমার ভাই মরহুম শহিদুল ইসলামের পরিবার ২০০৭ সালে আরেকটি হেবা দলিলের কথা বলে আমাকে একের পর এক হয়রানি করে আসছে। স্থানীয় এ সন্ত্রাসী দিয়ে একের পর এক আমার ওপর হামলা করিয়েছে। সব বিষয় এলাকাবাসী জানেন। আদালতে আমার ইনজাংশন পিটিশনের শুনানি আগামী ৭ আগস্ট। গত তিন মাস আগে মোবাইল ও সোনার চেইন চুরির অভিযোগে কলাবাগান থানায় একটি মামলা করে আমার ভাইয়ের মেয়ে তানিয়া। পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করলে আদালত থেকে পরদিন জামিন নেই। তবে জমির অপর দাবিদার মরহুম এ কে এম শহিদুলের মেয়ে জিনিয়া ইসলামের দাবি, তাদের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যে। তার বাবাই এই জমির প্রকৃত মালিক। জেলা আদালতই আদেশ দিয়েছে যে, চাচা ওই জমিতে ঢুকতে পারবেন না।

আরও ঘটনা : মোহাম্মদপুর থানা এলাকার শংকর মসজিদ সংলগ্ন ৩৩৯/এ হোল্ডিংয়ের সাড়ে চার কাঠা জমি। গত ২০০৮ সালের ৮ মার্চ মা মরহুমা বেগম জাহিদা আহমেদের কাছ থেকে দান সূত্রে এই জমির মালিক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনজীবী কুতুবুদ্দিন আহমেদ। ২০১২ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী জামায়াত নেতা জুবায়ের হোসেন কোনো ধরনের শর্ত ছাড়াই ওই জমিতে আটতলা ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ২০১৬ সালের জুন মাসে জুবায়ের আহমেদ ভুয়া দলিল দেখিয়ে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় দুজন নেতা এবং মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের দুর্নীতিগ্রস্ত কয়েকজন পুলিশ সদস্যের মদদে নিজেকে ওই জমির মালিক ঘোষণা করেন। এ নিয়ে কোনো ধরনের বাড়াবাড়ি করলে অ্যাডভোকেট কুতুবকে প্রাণনাশ ও তার দুই মেয়েকে অপহরণের হুমকি দিয়ে আসছেন জুবায়ের। জানা গেছে, গোপনে ২০১০ সালের ২৩ জুন ওই জমির দলিল করে ২০১৬ সালের ৩০ জুন জুবায়ের আহমেদ ওই জমির নামজারি করতে গেলেই এ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হন কুতুব। নামজারির বিপক্ষে এডিএম (অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট) কোর্টে ওই বছরের ২৪ জুলাই মিস আপিল করেন। আদালত ওইদিনই স্থিতাবস্থা জারির নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ভুক্তভোগী ওইদিনই নিম্ন আদালতে জাল জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেন। আগামী ১৭ আগস্ট এই মামলার শুনানির তারিখ রয়েছে। ভুক্তভোগী অ্যাডভোকেট কুতুব উদ্দীন বলেন, আমি ৯০-এর গণআন্দোলনের ১১ জনের কোর কমিটির একজন সদস্য ছিলাম। অথচ জামায়াত নেতা জুবায়ের অর্থের বিনিময়ে প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে আমাকে একের পর এক হয়রানি করছে। আমার দুই মেয়েকে অপহরণের হুমকি দিচ্ছে। এমনকি আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জুবায়ের ভবনের নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। গতকাল পর্যন্ত জুবায়ের দেশের বাইরে অবস্থান করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে মোহাম্মদপুর এলাকার ৩২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান এ প্রতিবেদককে বলেন, অ্যাডভোকেট কুতুবদের সঙ্গে যা হচ্ছে তা সত্যিই অমানবিক। নিজের বাড়ি থেকে বিতারিত হয়ে সে আজ বাস্তুহারা। তবে আমার বিশ্বাস কুতুব ন্যায়বিচার পাবে। ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, জমি সংক্রান্ত কোনো বিরোধ দেওয়ানি প্রকৃতির অপরাধ। এসব কর্মকাণ্ডে যাতে কোনো পুলিশ সদস্য জড়িত না হয়, সে বিষয়ে কমিশনার মহোদয়ের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। এরপরও যদি কোনো পুলিশ সদস্য এ ধরনের কাজে জড়ায় অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর