রবিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

২৫ দিনে ৪০০ পৃষ্ঠা রায় লেখা অসম্ভব

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৫ দিনে ৪০০ পৃষ্ঠা রায় লেখা অসম্ভব

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা লিখেছেন কিনা— তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে জাতীয়  শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ওই সভায় বিচারপতি  শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, উনি মাত্র ২৫ দিন সময়ের মধ্যে ৪০০ পৃষ্ঠার কথা লিখেছেন, এটা ইমপসিবল, এটা হতে পারে না। এটা তার লেখা রায়  মোটেও নয়। তার লেখা রায় পড়লে আপনারা দেখতে পাবেন, অনেক শব্দ আছে যেসব শব্দ তার লেখা আগের  কোনো রায়ে নেই। অর্থাৎ এটা পরিষ্কার, এই রায় তার লেখা নয়। অন্য কেউ লিখে দিয়েছে, সম্ভবত পাকিস্তানি কোনো আইএসআই লিখে দিয়েছে। সভার প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ ছাড়াও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিচারপতি মানিক বলেন, ষোড়শ সংশোধনী মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত না এমন অনেক কথা তিনি অবজারবেশনে বলেছেন। প্রধান বিচারপতির কাজ রাজনীতি করা না। যে প্রধান বিচারপতি রাজনীতি করে, সেটা তার অযোগ্যতা। এসব করে তিনি অনেকভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন, শপথ ভঙ্গ করেছেন। তার আর এই পদে থাকার কোনো অধিকার  নেই। তাকে অবশ্যই এই পদ ছেড়ে চলে যেতে হবে। বিচারপতি শামসুদ্দিন প্রধান বিচারপতিকে বলেন, শুধু প্রধান বিচারপতির পদ ছাড়বা না, এই দেশ ছাড়তে হবে। যে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব স্বীকার করে না, এ দেশে থাকার কোনো অধিকার তার নেই।

সভায় হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার অসামপ্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী— এমনটা প্রমাণ করতে অপেক্ষাকৃত কম যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও প্রধান বিচারপতি পদে এস কে সিনহাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। আর এই প্রধান বিচারপতি এখন দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। দুর্নীতিবাজ এক বিচারককে বাঁচানোর জন্য তিনি দুদকে চিঠি দিয়েছেন। দুর্নীতিকে যে প্রশ্রয় দেয়, সেও সমান অপরাধী। এটা দুদকের ৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী তিনিও সেই অপরাধ করেছেন।

সর্বশেষ খবর