বুধবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

ঈদের পর ১৪ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ইসির সংলাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদের পর ১৪ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ইসির সংলাপ

নির্বাচন কমিশনের ধারাবাহিক সংলাপে ঈদের পর ১৪ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনায় বসার সময়সূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে। ঈদের ছুটির কারণে সংলাপ ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এরপর ১০ সেপ্টেম্বর আবার সংলাপ শুরু করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে সংলাপ শেষে ২৪ আগস্ট রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে কমিশন। আজ বেলা ১১টায় বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও ৩টায় জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সঙ্গে সংলাপে বসার কথা রয়েছে। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত মোট ২০টি দলের সময়সূচি ঠিক করেছে কমিশন। ইসির জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান জানান, ঈদের পর আপাতত ১৪টি দলের সময়সূচি করা হয়েছে। পরে বাকি দলের সূচি দেবে ইসি। ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঈদের পর ১০, ১২, ১৪, ১৭, ১৮, ২০ ও ২১ সেপ্টেম্বর সকাল-বিকাল ১৪টি দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপ করবে কমিশন। এ ক্ষেত্রে ১০ সেপ্টেম্বর সকালে বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্ট (নিবন্ধনক্রম ৩৫) ও বিকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (নিবন্ধনক্রম ৩৪); ১২ সেপ্টেম্বর সকালে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস (নিবন্ধনক্রম ৩৩) ও বিকালে ইসলামী ঐক্যজোট (নিবন্ধনক্রম ৩২); ১৪ সেপ্টেম্বর সকালে কল্যাণ পার্টি (নিবন্ধনক্রম ৩১) ও বিকালে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ (নিবন্ধনক্রম ৩০); ১৭ সেপ্টেম্বর সকালে ঐক্যবদ্ধ নাগরিক অন্দোলন (নিবন্ধনক্রম ২৯), বিকালে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (নিবন্ধনক্রম ২৮); ১৮ সেপ্টেম্বর সকালে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ) (নিবন্ধনক্রম ২৭), বিকালে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি) (নিবন্ধনক্রম ২৬); ২০ সেপ্টেম্বর সকালে গণফ্রন্ট (নিবন্ধনক্রম ২৫), বিকালে গণফোরাম (নিবন্ধনক্রম ২৪) এবং ২১ সেপ্টেম্বর সকালে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ (নিবন্ধনক্রম ২৩), বিকালে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) (নিবন্ধনক্রম ২২) সঙ্গে সংলাপ করবে নির্বাচন কমিশন। ৩১ জুলাই সুশীল সমাজ, ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের পর ২৪ আগস্ট রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করে ইসি। এদিন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের (মুক্তিজোট) সঙ্গে সংলাপ করার সময়সূচি থাকলেও দলীয় অন্য কর্মসূচি থাকার কারণ দেখিয়ে সংলাপে অংশ নেয়নি বিএনএফ। অবশ্য তাদের নির্ধারিত তারিখের এক মাস পর কমিশনের সুবিধাজনক সময়ে পুনরায় সময় চেয়েছে দলটি। ইসির কর্মকর্তারা বলেছেন, সংলাপে সাতটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। তারা বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) বাংলা ভাষায় প্রণয়ন, ভোটে অবৈধ অর্থ ও পেশিশক্তির ব্যবহার বন্ধে আইনি সংস্কার, সংসদীয় এলাকার সীমানা নির্ধারণ, নির্বাচন প্রক্রিয়া সহজ করা, প্রবাসী ভোটারদের ভোটদান নিশ্চিত করা ও নির্ভুল ভোটার তালিকা করা, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিরীক্ষা-সংক্রান্ত প্রস্তাব এবং সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সবার সক্ষমতা বৃদ্ধি করার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর