জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি টাকেডা আলেমু বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যার শান্তিপূর্ণ অবসান এবং বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সবাইকে নিরাপদে নিজ জন্মস্থানে ফিরে যাওয়ার পরিবেশ তৈরির জন্য শেখ হাসিনার উচিত হবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে লবিং জোরদার করা। টাকেডা
বলেন, বিশেষ করে চীনের সহায়তা দরকার। কারণ, মিয়ানমারের ব্যাপারে চীন খুবই সংবেদনশীল। এ ছাড়া বৈশ্বিক রাজনীতি নিয়ে তৎপর মহলও বেশ সজাগ। এ বিষয়টি খুবই সচেতনতা, সাবধানতা ও গুরুত্বের সঙ্গে নাড়াচাড়া করতে হবে। খবর এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক। জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে এ মোমেন গত শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদ সভাপতি টাকেডার সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন। বৈঠককালে টাকেডা জানতে চান যে, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কেমন। ড. মোমেন বলেন, ‘খুবই চমৎকার’। তখন টাকেডা বলেন, ‘এই সম্পর্ককে কাজে লাগাতে হবে। তা না হলে এ সমস্যা দীর্ঘ হতে পারে।’ তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থনের বিকল্প নেই।
মিয়ানমার পরিস্থিতি সম্পর্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সভাপতিকে বিস্তারিতভাবে অবহিত করেন ড. মোমেন। তিনি তাকে জানান যে, চলতি সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শরণার্থী শিবিরগুলো পরিদর্শন করেছেন। সে সময় দেশত্যাগী রোহিঙ্গাদের অবস্থা প্রত্যক্ষ করার পাশাপাশি তাদের ওপর চালানো বর্বরতা সম্পর্কেও অবহিত হন শেখ হাসিনা। এ ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এখন কী করা উচিত সে পরামর্শ চাইলে নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে লবিং জোরদার করতে হবে।’ টাকেডা আলেমু বলেন, ‘আগে কখনোই রোহিঙ্গা ইস্যুতে এ কাউন্সিল ঐকমত্যে উপনীত হতে পারেনি। গত বুধবারের বৈঠকে সেটি সম্ভব হয়েছে। এখন আমরা রোহিঙ্গা ইস্যুকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি। নিরাপত্তা পরিষদের এমন দৃঢ়চেতার বিকল্প ছিল না। যদিও এখনো কোনো রেজুলেশন করা সম্ভব হয়নি। কিংবা পরিষদ সভাপতিও বিবৃতি দেননি। পরবর্তী পদক্ষেপ হতে পারে সামগ্রিক পরিস্থিতির আলোকে বিস্তারিত বিবরণী প্রকাশ করা। এরপরই হয়তো বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গার মানবাধিকার ও নাগরিক অধিকার প্রশ্নে সংশ্লিষ্ট সবার মধ্যে আরও আলোচনার ভিত্তিতে। নিরাপত্তা পরিষদের একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া সম্ভব হবে। তবে এখনো ওপেন চেম্বারে আলোচনার পরিবেশ তৈরি হয়নি।’