শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

ঢাকায় ইইউ কমিশনার মার্কিন প্রতিনিধি দল যাবে মিয়ানমারেও

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে গতকাল ঢাকায় পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি সাইমন হেনশর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। ঢাকা ও কক্সবাজার সফর শেষে তারা মিয়ানমার যাবেন। প্রতিনিধি দলে আছেন গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শ্রম ব্যুরো ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি স্কট বাসবি, দক্ষিণ ও সেন্ট্রাল এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি টম ভাজদা, পূর্ব-এশিয়া ও প্যাসিফিক বিষয়ক ব্যুরোর অফিস ডিরেক্টর প্যাট্রিসিয়া মাহোনি। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের বিবৃতি অনুসারে, দুই দেশ সফরে প্রতিনিধি দলটি রাখাইনের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বাস্তুচ্যুত  রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করবেন। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘমেয়াদি সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবে। বাংলাদেশে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা, দাতা ও মানবিক ত্রাণ সহায়তা সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবেন। এসব বৈঠকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের জীবন রক্ষার মতো সহযোগিতা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করবেন। তারা কহ্নবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পও পরিদর্শন করবেন। এ সময় তারা রোহিঙ্গাদের বক্তব্য শোনা ছাড়াও জরুরি মানবিক সহায়তার প্রভাব পর্যালোচনা ও সহযোগিতার ঘাটতি চিহ্নিত করবেন। একই সঙ্গে এসব পরিস্থিতি উন্নয়নে পরামর্শও দেবেন। মিয়ানমারে প্রতিনিধি দলটি কূটনীতিক, সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক ও এনজিও অংশীদারদের সঙ্গে চলমান সংকট নিয়ে আলোচনা করবেন। রাখাইনে তারা শর্তহীনভাবে ত্রাণ সংস্থা ও সংবাদকর্মীদের প্রবেশের অনুমতি চাইবেন। এ ছাড়া বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সসম্মানে ও নিরাপদে রাখাইনে প্রত্যাবাসন-প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করবেন।

তিন দিনের সফরে ইইউ কমিশনার : ইইউ কমিশনার ক্রিস্টোস স্টাইলিয়ানিডস তিন দিনের সফরে গতকাল ঢাকায় এসেছেন। মন্ত্রী পদমর্যাদার এই ইইউ কমিশনার আজ কক্সবাজার গিয়ে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করবেন। সেখানে কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলবেন। বুধবার তিনি ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ঢাকায় ইইউ রাষ্ট্রদূত রেনসি তিয়েরিঙ্ক ইতিমধ্যে বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে মিয়ানমারের সদিচ্ছা  নেই বলেই মনে হচ্ছে। এক্ষেত্রে, ইইউ যে আহ্বান জানিয়েছে তাতে মিয়ানমার সাড়া না দিলে দেশটির বিপক্ষে আরও কঠিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের সম্ভাবনা আছে। ইইউ কমিশনারের এবারের সফর মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নিতে সহায়ক হতে পারে। ইইউ রাষ্ট্রদূত অবশ্য আভাস দিয়েছেন যে, আসন্ন আসেম সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আরও অনেক তত্পরতা চালানো হবে।

সর্বশেষ খবর