সোমবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

বঙ্গভবনের নির্দেশনার অপেক্ষা

এস কে সিনহার পদত্যাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গভবনের নির্দেশনার অপেক্ষা

এস কে সিনহা

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার পদত্যাগের বিষয়ে বঙ্গভবনের নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। প্রধান বিচারপতির পদত্যাগপত্রটি জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে কি না সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অপর একটি সূত্র জানায়, তার পদত্যাগপত্র আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই গেজেট প্রকাশিত হতে পারে।  আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, যেহেতু বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর, তাই এ বিষয়ে কোনো কিছু হলে একমাত্র আইনমন্ত্রী নিজেই বলবেন। তবে গতকাল পর্যন্ত বঙ্গভবন থেকে এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে মন্ত্রণায়ল সূত্র। বঙ্গভবনের নির্দেশনা পেলে আইনি প্রক্রিয়ায় এগুবে মন্ত্রণালয়। অপর একটি সূত্র জানায়, ছুটিতে থাকা প্রধান বিচারপতি শুক্রবার সিঙ্গাপুর থেকে কানাডা গেছেন। তিনি চিকিৎসার জন্য অস্ট্রেলিয়া থেকে গত সোমবার রাতে সিঙ্গাপুরে পৌঁছান। কানাডায় প্রধান বিচারপতির ছোট মেয়ে আশা সিনহা রয়েছেন।

বিচার বিভাগ ভারমুক্ত হলো : প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করায় বিচার বিভাগ ভারমুক্ত হলো বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। গতকাল নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। মাহবুবে আলম বলেন, বিচার বিভাগের কোনো ব্যক্তি যদি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকেন, চরিত্র স্খলনে জড়িত থাকেন, কোনোমতেই তার বিচার বিভাগে থাকা উচিত নয়। প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছেছে। পরবর্তী প্রক্রিয়া কি হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে সেটি আইন মন্ত্রণালয়ে যায় এবং গেজেট প্রকাশিত হতে হয়। সংবিধানে রয়েছে স্বহস্তে লিখিত দরখাস্ত রাষ্ট্রপতির কাছে দিলে সেটি পদত্যাগপত্র বলে গণ্য হবে। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বলতে শুধু প্রধান বিচারপতিকে বোঝায় না। সব ক’জন বিচারপতি ও প্রধান বিচারপতিকে বোঝায়। আপিল বিভাগের অন্য বিচারপতিরা যেদিন প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বসে মামলা নিষ্পত্তিতে অনীহা প্রকাশ করলেন, বেঞ্চে বসতে রাজি হলেন না, সেদিনই বিষয়টি ফয়সালা হয়ে গেছে। যে পরিপ্রেক্ষিতে বলেছিলাম, ছুটি থেকে ফিরে এসে প্রধান বিচারপতি হিসেবে তার দায়িত্ব গ্রহণ সুদূরপরাহত। তিনি আরও বলেন, আসলে তার পদত্যাগ করা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। আপিল বিভাগের অন্য বিচারপতিরা যদি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বসতে না চান, তখন তার অন্য কোনো পথ থাকে না।

সর্বশেষ খবর