সোমবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

বিচারপতির পদত্যাগ নিয়ে জামায়াত-বিএনপি তুলকালাম করছে

— আশরাফুল আলম খোকন

প্রতিদিন ডেস্ক

সদ্য পদত্যাগী প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ১১টি অভিযোগে তার সঙ্গে এজলাসে বসতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তার সহকর্মীরা। ফলশ্রুতিতে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। এই নিয়ে জামায়াত-বিএনপি তুলকালাম কাণ্ড শুরু করে দিয়েছে। ভাবখানা এমন যে তারা এইমাত্র মঙ্গল গ্রহ  থেকে পৃথিবীতে অবতরণ করেছেন। বিচার বিভাগের  কোনো ইতিহাসই মনে হয় জানেন না।

শুরুটা করেছিলেন কিন্তু তাদেরই নেতা সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমানের সময় ১৯৭৭ সালের ১ ডিসেম্বর চাকরি চলে যায় তৎকালীন বিচারপতি এ এফ এম আহ্সানউদ্দিন চৌধুরীর। সমসাময়িক সময়ে একই প্রক্রিয়ায় বিদায় হন আরও পাঁচজন বিচারপতি— এবিএম মাহমুদ হোসেন, রুহুল ইসলাম, দেবেশ ভট্টাচার্য, সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী ও আবদুল মুমিত চৌধুরী।

একই প্রক্রিয়ায় ১৯৮২ সালের ১১ এপ্রিল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আমলে চাকরির অবসান ঘটে বিচারপতি কামাল উদ্দিন হোসেনের। ব্যারিস্টার শওকতের কাছ  থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে পদত্যাগ করেন বিচারপতি মাহবুবুস সোবহান। এরশাদের সময়ে চাকরি চলে যায় আরও দুই বিচারপতি আ স ম হুসাইন ও আবদুর রহমানের।

বিচার বিভাগে আরও ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটায় ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর। বিচার বিভাগের নিয়মনীতির ব্যত্যয় ঘটিয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত ১৮ জন বিচারপতির চাকরি তারা স্থায়ী করেননি। অধিকন্তু জাল সনদপ্রাপ্ত বিচারপতির নিয়োগ নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হওয়ায় পদত্যাগে বাধ্য হন বিচারপতি ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজ। বিএনপি-জামায়াত জোট তাকে নিয়োগ দিয়েছিল। ২০০৪ সালের ২০ এপ্রিল চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল বিচারপতি শাহিদ উর রহমানকে। ২০০৬ সালের ১ জুলাই পদত্যাগ করেন বিচারপতি মোহাম্মদ লতিফুর রহমান।

এ ছাড়া ১/১১-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় পদত্যাগ করেন বিচারপতি বদরুল হক। অর্থাৎ বিষয়টি স্পষ্ট। বিচারপতিদের নিয়ে সবচেয়ে ন্যক্কারজনক ঘটনাগুলো ঘটেছে বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময়।

[লেখাটি প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকনের ফেসবুক থেকে নেওয়া।]

সর্বশেষ খবর