বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

বখাটেদের হাতে বাবা খুন, ছেলে আহত

ত্রিশালে শিক্ষককে পিটুনি

ময়মনসিংহ ও ভাঙ্গা প্রতিনিধি

নারী উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বখাটেদের হাতে খুন হয়েছেন রব মোল্লা (৫২) নামের এক ব্যক্তি। হামলায় আহত হয়েছেন তার ছেলে সোহেল মোল্লা (১৮)। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মানিকদহের বিলভরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের স্ত্রী আফরোজা বেগম বাদী হয়ে গতকাল এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ,    এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা যায়, মানিকদহ ইউনিয়নের বিলভরা গ্রামের তিন সন্তানের জননী এক নারীকে গত এক সপ্তাহ ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল একই গ্রামের বখাটে যুবক রাকিব মৃধা। ভুক্তভোগী নারী গত সোমবার বিষয়টি তার প্রতিবেশী সোহেলকে জানালে সে রাকিবকে ডেকে মারধর করেন। এ নিয়ে ওই রাতে সোহেল ও রাকিবের পরিবারের মধ্যে মীমাংসা-শালিসিও হয়। কিন্তু পরদিন সন্ধ্যার পর সোহেল দোকান থেকে ফেরার সময় রাকিব দলবল নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় সোহেলের বাবা সন্তানকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে বখাটেরা তাকেও মারধর করে। পরে পিতা ও পুত্রের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী আহত পিতা ও পুত্রকে উদ্ধার করে সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রব মোল্লাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত সোহেলকে গতকাল ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থানান্তর করা হয়েছে। ভাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিরাজ হোসেন বলেন, নারীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় এই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

শিক্ষককে পিটুনি : ছাত্রী উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় ত্রিশালে আবুল মুনসুর নামে এক শিক্ষককে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে বখাটেরা। তাকে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন শিক্ষার্থী ও সহকর্মীরা। মঙ্গলবার বিকালে ত্রিশাল-বালিপাড়া সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে গতকাল সড়ক অবরোধ, অগ্নিসংযোগ, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। জানা যায়, মঙ্গলবার জেএসসি পরীক্ষা শুরুর আগে পাটুলী রহমত উল্লাহ উচ্চবিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা হলে প্রবেশ করার সময় কিছু বখাটে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে। বিষয়টি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল মুনসুরের নজরে এলে তিনি বখাটেদের ধমকে দেন। পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে ত্রিশাল-বালিপাড়া সড়কে বখাটেরা শিক্ষার্থীদের সামনেই ওই শিক্ষককে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। পরে শিক্ষার্থী ও সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে ত্রিশাল হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল সকাল ১০টা থেকে ত্রিশাল-বালিপাড়া সড়ক অবরোধ, অগ্নিসংযোগ, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটি ও স্থানীয় এলাকাবাসী।

এ সময় তারা বেশ কয়েকটি পয়েন্টে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে দেয় ও দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করে। দুপুরে ইউএনও, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

সর্বশেষ খবর