বুধবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

প্রস্তুতি না থাকায় অশোভন বলছে বিএনপি : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রস্তুতি না থাকায় অশোভন বলছে বিএনপি : কাদের

উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল হাই কোর্ট সংলগ্ন তার সমাধিতে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন —বাংলাদেশ প্রতিদিন

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উপনির্বাচন নিয়ে সরকারের কোনো তোড়জোড় নেই। নিয়ম অনুযায়ী ওই পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে আওয়ামী লীগ কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। এটা আওয়ামী লীগের বিষয়ও নয়। তিনি বলেন, বিএনপির হয়তো নির্বাচনের প্রস্তুতি নেই, তাই তারা বলছে এত দ্রুত ডিএনসিসি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা অশোভন। তবে এই নির্বাচনে জেতার জন্য আওয়ামী লীগ যোগ্য প্রার্থী দেবে। গতকাল রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে ইডেন কলেজের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অসুস্থ আঁখিমণিকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। জন্মগত প্রতিবন্ধী আঁখিমণির চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি কখন যে কী বলে তার ঠিক নেই। একবার বলে যে কোনো পরিস্থিতিতে নির্বাচনে যাবে। আবার বলে খালেদা জিয়ার সাজা হলে যাবে না। কোনটা সঠিক? খালেদা জিয়ার সাজা তো সরকার বা আওয়ামী লীগ দেবে না। এটা আদালতের ব্যাপার। আর নিম্ন আদালতে সাজা হলে তো উচ্চ আদালত আছে। আপিল করার সুযোগ আছে, রিভিউও করতে পারবেন। তিনি বলেন, নির্বাচন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। তা বিএনপি চায়, আমরাও চাই। আমি অনেকবার বলেছি, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন আমরা চাই। প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচন চাই না। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে গণভবনে ডেকেছিলেন। তখন তিনি হাতের লক্ষ্মী পায়ে ঠেলে দিয়েছিলেন। এতে গণতন্ত্রের কী দোষ! আওয়ামী লীগ একদিকে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে অস্থায়ী ক্যাম্প করছে, অন্যদিকে তাদের প্রত্যাবর্তনের চুক্তি করেছে আসলে তারা চায় কী? বিএনপির এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগও প্রত্যাবর্তন চায়। তবে এর একটি প্রক্রিয়া আছে, যা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তিনি বলেন, উখিয়া টেকনাফের জনসংখ্যা ৪ লাখ। এখন সেখানে মিয়ানমার থেকে এসে আরও ৭ লাখ মানুষ যুক্ত হয়েছে। সেখানে তাদের তাঁবুর নিচে রাখা হয়েছে। এতে পরিবেশ ও প্রকৃতি হুমকির মুখে। তার ওপর তারাও ধৈর্যহারা হচ্ছেন। দীর্ঘদিন কীভাবে সেখানে রাখব? সে কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীমসহ অন্য নেতারা তার সঙ্গে ছিলেন।

সর্বশেষ খবর