শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
জেরুজালেম ইস্যু

হুমকিতে কাজ হলো না, ট্রাম্প এখন কী করবেন

প্রতিদিন ডেস্ক

হুমকিতে কাজ হলো না, ট্রাম্প এখন কী করবেন

দীর্ঘদিনের মার্কিন নীতি থেকে সরে এসে এবং ইউরোপীয় ও আরব বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সতর্কতা উপেক্ষা করে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে একতরফাভাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও এটা তার অধিকারে আছে তবে সেটা অবশ্যই স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে। এবং সেটা ট্রাম্প বুঝতেও পেরেছেন। কারণ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বিশেষ অধিবেশনে বিশ্বের প্রায় সব দেশ মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঘোষণাকে সমর্থন করেননি। এমন কী হুমকি ধমকির পরেও।

মজার ব্যাপার হচ্ছে বিশ্বের এতগুলো দেশের এই মূল্যায়নের কোনো দামই নেই। অর্থাৎ গোটা বিশ্ব বনাম ট্রাম্প। এবং আপাতত ট্রাম্পেই জয়ী। জেরুজালেম ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলের রাজধানী হচ্ছে। স্বৈরাচারীর মতো কথা : জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত নিকি হ্যালি বিভিন্ন দেশকে হুমকি দিয়ে যে টুইট করেছেন তা শুনতে অনেকটা স্বৈরাচারী শাসকের মতো মনে হয়েছে। হ্যালির বক্তব্য গণতন্ত্রের বাতিঘর বলে নিজেদের দাবি করা একটি দেশের প্রতিনিধির মতো শোনায়নি। তবে নিকিকে ছাড়িয়ে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেছে ট্রাম্প। তিনি জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ভোট দিলে আর্থিকসহ অন্য সাহায্য সরাসরি বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে রেখেছেন। কিন্তু হুমকিকে তোয়াক্কা না করে ভোট দিয়েছে ১২৮টি দেশ। আর পক্ষে ভোট দিয়েছে মাত্র নয়টি দেশ। এখন প্রশ্ন উঠেছে কী করবেন ট্রাম্প।

শায়েস্তার উপায় খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র : ট্রাম্পের হুমকিতে কাজ না হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র এখন ‘অবাধ্য’ দেশগুলোর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে সেটা নিয়ে চলছে আলোচনা।

রাজনীতিবিদ ও সাবেক মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, সহযোগিতা গ্রহণকারী দেশগুলোর শাসানো উচিত। তাদের বলা উচিত, এমনটা যেন আর না হয়। কেউ কেউ বলছেন, মার্কিন কর্মকর্তারা যেন বিপক্ষে ভোট দেওয়া দেশের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ বন্ধ করে দেন। তবে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে সংশয়ও রয়েছে তাদের মনে।

আর জাতিসংঘ মার্কিন মিশনের এক মুখপাত্র জানান, ‘প্রেসিডেন্ট যেমনটা বলেছেন অনেক দেশই এখন জাতিসংঘে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবে না। আমরা আমাদের বৈদেশিক সম্পর্ক উন্নয়নে এই ভোটগুলো ব্যবহার করব। এটা অবহেলার সুযোগ নেই আর।’

মার্কিন রাজনীতিবিদরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, মিসর ও জর্ডানের মতো মিত্ররাও যেখানে রয়েছে সেখানে কীভাবে এই পদক্ষেপ নেবে যুক্তরাষ্ট্র। রিগান ও বুশ প্রশাসনে শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এলিয়ট আব্রাম বলেন, ওই দেশগুলোতে আর্থিক সহায়তা যুক্তরাষ্ট্রেরই জাতীয় নিরাপত্তা সুরক্ষিত রাখে। তবে কেউ কেউ বলছেন, সাহায্য বন্ধ করলে শুধু সেই দেশেরই যে ক্ষতি হবে তা নয়, এতে যুক্তরাষ্ট্রও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কেননা সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ওসব দেশের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর