শিরোনাম
সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

চালের দাম অসহনীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

চালের দাম অসহনীয়

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, চালের দাম যে হারে বেড়েছে, এটা অসহনীয়। এতে সাধারণ মানুষের অনেক অসুবিধা হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন। গতকাল সচিবালয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের লভ্যাংশ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষকদের সুবিধার্থে সরকারই চেয়েছিল চালের দাম বাড়ুক। তবে তা যে হারে বেড়েছে, এটা অসহনীয়।’ তিনি বলেন, ‘তবে চালের দাম বাড়ার কারণে কত শতাংশ দারিদ্র্যের হার বেড়েছে তা এখনই নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। কিন্তু এটা ঠিক, চালের দাম বাড়ার কারণে সাধারণ মানুষের অনেক অসুবিধা হয়েছে।’ আগামীতে উৎপাদন বাড়লে চালের দাম কমে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এদিকে চালের দাম বাড়াতে দেশে শূন্য দশমিক ৩২ শতাংশ দারিদ্র্যের হার বেড়েছে। এ ছাড়া চালের অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় দারিদ্র্যের কবলে পড়েছেন দেশের ৫ লাখ ২০ হাজার মানুষ। শনিবার এমন তথ্য প্রকাশ করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সানেম। সংস্থাটির দেওয়া তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে যে পরিমাণ চাল আমদানি হয়েছে, তা গত অর্থবছরের পুরো আমদানির প্রায় পাঁচ গুণ। এ ক্ষেত্রে চাল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের কৌশলগত চুক্তি করা দরকার বলেও সুপারিশ করে সংস্থাটি। এ রিপোর্টের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো তাত্ক্ষণিক রিপোর্ট। এগুলো বিশ্বাস করা উচিত হবে না। গরিব লোক কমছে বা বাড়ছে—এর জন্য অন্তত বছরখানেক দেখা দরকার। বছর শেষে কী হবে তা আমি জানি না। তবে চালের দাম বাড়ার কারণে অনেকের অসুবিধা হয়েছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। আমরা চেয়েছিলাম চালের দাম কিছুটা বাড়ুক। তবে দামটা অনেক বেড়ে গেছে। আগে অনেক কম ছিল। সেটা ভালোই ছিল। কিন্তু ৫০ টাকার ওপরে ওঠে যাওয়ায় কিছু লোকের খুব অসুবিধা হয়েছে। এটা এখন নিয়ন্ত্রণে আসা দরকার।’ উৎপাদন বাড়লে দাম কমে আসবে বলে তিনি মনে করেন।

ড. ইউনূস ও তার সমর্থকরা মামলায় ওস্তাদ : এদিকে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার সমর্থকরা মামলা করতে ওস্তাদ। অনেক মামলা তারা তৈরি করে দিয়েছেন, যে কারণে গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন করতে দেরি হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘অতিসত্বর গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন হবে। শিডিউল বানানো হয়ে গেছে। ইউনূস ও তার সমর্থকদের করা বিভিন্ন মামলার কারণে নির্বাচন করতে দেরি হলো।’ গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রতন কুমার নাগ ২০১৬ সালের লভ্যাংশের ৬ কোটি ১৭ লাখ ৪০ হাজার ডামি চেক অর্থমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। এ সময় ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক বাবুল সাহা ও উপমহাব্যবস্থাপক মোস্তফা কামাল উপস্থিত ছিলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা গ্রাহকরা এখন গ্রুপভিত্তিক ঋণ নিয়ে অনেক প্রফিট করেন। এটি বাংলাদেশের সামাজিক পরিবর্তনের বড় নির্দেশক। যেখানে অধিকাংশ মানুষ গরিব ছিল, এখন তা মাত্র ২৫ শতাংশ। ব্যাপকভাবে বাংলাদেশের সামাজিক পরিবর্তন হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর