‘ভাইল ফার্মিয়ন’ নামে অধরা কণার আবিষ্কারক আমেরিকার প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. জাহিদ হাসান তাপস বলেছেন, ‘শিক্ষা ও বিজ্ঞানের সঙ্গে মানবতা থাকতে হবে। মানবতাহীন শিক্ষা, বিজ্ঞান কল্যাণ বয়ে আনে না। আমি আমার বাবা সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট রহমত আলীর কাছ থেকে এই শিক্ষা পেয়েছি’। গাজীপুর শ্রীপুর চৌরাস্তার শ্রীপুর ভবনে গতকাল শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও দুস্থদের শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজক ‘বাংলাদেশ হিউম্যান অ্যান্ড চিলড্রেন ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি’। জাহিদ হাসান তাপস বলেন, ‘একজন ব্যক্তির মধ্যে শিক্ষা এবং বিজ্ঞান থাকলে সে আবিষ্কার করতে পারে। তার আবিষ্কার এটম বোমার মতো ধ্বংসও করতে পারে। শিক্ষা ও বিজ্ঞানের পাশাপাশি মানবতা দরকার। মানবতা না থাকলে সে শিক্ষা বা বিজ্ঞান কিছু গড়তে পারবে না। বিজ্ঞানীরা শুধু নির্দিষ্টসংখ্যক মানুষের জন্য নয়, মানবসভ্যতার জন্য কাজ করে। তিনি বলেন, মাইক্রোফোন, মোবাইল ফোন, এক্স-রে যন্ত্র ইত্যাদির আবিষ্কারক বহির্বিশ্বের বিজ্ঞানীরা। কিন্তু এর সুফল ভোগ করছে সারা বিশ্বের মানুষ। সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপিকা রোমানা আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞানী ড. জাহিদ হাসানের মা রত্নগর্ভা নাদিরা রহমত আলী, মাইক্রোসফট সাউথ এশিয়ার পরিচালক সারাহ আহম্মেদ, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তা রিয়াজুল হক বাবু, শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মণ্ডল বুলবুল, শ্রীপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কমর উদ্দিন, গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল আলম রবিন, বৃহত্তর মির্জাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম সফি, শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী কলেজের অধ্যক্ষ ও প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক নূরুন্নবী আকন্দ, শ্রীপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক আকন্দ প্রমুখ। প্রসঙ্গত, প্রায় সাত যুগ পর ওই বিজ্ঞানী ‘ভাইল ফার্মিয়ন’ নামে অধরা কণার আবিষ্কার করেন।