শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

সবাই এখন জানে ফেরত দিতে হবে না ব্যাংকের টাকা

রুহুল আমিন রাসেল

সবাই এখন জানে ফেরত দিতে হবে না ব্যাংকের টাকা

সিদ্দিকুর রহমান

ব্যাংকের টাকা নিয়ে ফেরত দিতে হবে না, এ কথা জানে যারা, নেয়ও তারা। এমন মন্তব্য করেছেন তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ব্যাংকে থাকা জনগণের টাকা নিয়ে কারও খেলা করা উচিত না। ব্যাংকে রাখা জনগণের টাকা নিয়ে একজন দেবে না, একজন নেবে, এটা একদম ওপেনসিক্রেট হয়ে গেছে। এখানে সরকারকে কঠিন হাতে বিষয়টি দমন করতে হবে। তবে একটা সুখবর আছে। কিছুটা হলেও বিচার শুরু হয়েছে। আগে শুধু এমডি পরিবর্তন হতো। এখন তো দেখলাম ব্যাংকের চেয়ারম্যানও পরিবর্তন হয়।

গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি—বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ব্যাংকিং খাতের টাকা জনগণের টাকা। এই জনগণের টাকা নিয়ে কারও খেলা করা উচিত না এবং ১০ জন ব্যবসা করলে, একজন ব্যর্থ হতেই পারেন। সেটা এক জিনিস। কিন্তু সাম্প্রতিককালে যা হয়েছে, তা উভয়ের সমঝোতার মাধ্যমে টাকা নিয়ে গেছে। এটা ভয়াবহ চিত্র। যা আমাদের চিন্তার বিষয়।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, একজন ব্যবসা করতে গিয়ে ব্যর্থ হলেন, ব্যাংকের টাকাও দিতে পারলেন না। তার ক্ষেত্রে উচিত হলো— সে যাতে ব্যবসা করে টাকা ফেরত দিতে পারেন, সেই রকম জায়গায় সহযোগিতা করা। সেই জায়গায় কিন্তু ব্যাংক কখনো কোনো প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা করে না। যখন কোনো প্রতিষ্ঠান স্থবির হয়ে যায়, ব্যাংক তখন ওই প্রতিষ্ঠানকে আরও স্থবির করে দেয়। এটা না করে সহযোগিতা করা উচিত।

সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সরকার কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে। আমরা সাম্প্রতিককালে দেখেছি, কোনো ব্যাংকের চেয়ারম্যান যেতে পারেন না ব্যাংকে। চেয়ারম্যান পরিবর্তন হচ্ছে। ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা এমডি পরিবর্তন হচ্ছে। আগে শুধু এমডি পরিবর্তন হতো। এখন তো দেখলাম ব্যাংকের চেয়ারম্যানও পরিবর্তন হয়। এগুলো একটা সুখবর যে, কিছুটা হলেও বিচার শুরু হয়েছে এবং আরও শক্ত হওয়া দরকার। যারা এই অপকর্ম করছে, তাদের কঠিন শাস্তি দেওয়া উচিত।

পোশাকশিল্প মালিকের এই নেতা আরও বলেন, সবখানেই ভালো-মন্দ আছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যেও ভালো-মন্দ আছে। কোনো ব্যবসায়ীর পাঁচটি কোম্পানি থাকলে, তার মধ্যে একটি খারাপ করেছে। কিন্তু বাকি চারটি প্রতিষ্ঠান যদি ভালোভাবে চলে, তাকে সহায়তা করা উচিত। কিন্তু সেটা করা হচ্ছে না। যদি বাকি চারটি প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা করা হয়, তাহলে ব্যবসা করে ওই ব্যবসায়ী একটি খারাপ প্রতিষ্ঠানের দায়-দেনা শোধ করতে পারেন। এই সুযোগটা দেওয়া উচিত।

সর্বশেষ খবর