রবিবার, ৭ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

আজ পোস্টার পেলে ব্যবস্থা নেবে ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন সামনে রেখে আগাম নির্বাচনী পোস্টার-বিলবোর্ড অপসারণের সময় গত রাত ১২টায় শেষ হয়েছে। এর পরও আজ সিটি এলাকায় পোস্টার-বিলবোর্ডসহ নির্বাচনী প্রচারসামগ্রী পেলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য নির্বাচনী এলাকা পর্যবেক্ষণে ইসির নিজস্ব টিম আজ মাঠে নামছে। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর পোস্টার অপসারণে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছিল ইসি।

ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে উপনির্বাচন এবং উত্তর ও দক্ষিণের নতুন ৩৬টি ওয়ার্ডে সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ভোট হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি। ৯ জানুয়ারি এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে। এ বিষয়ে ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্টদের আগাম পোস্টার-বিলবোর্ড অপসারণের নির্দেশ দিয়েছি। এর পরও যদি কেউ এসব অপসারণ করতে ব্যর্থ হন, তবে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী যারা প্রচারণা চালাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হবে।’ ৩১ ডিসেম্বর (পোস্টার অপসারণে) একটি চিঠিতে ঢাকা উত্তর সিটির পুরো এলাকায় ও দক্ষিণের নতুন ১৮ ওয়ার্ডে সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোস্টার, বিলবোর্ড, তোরণ, দেয়াল লিখনসহ সব প্রচারসামগ্রী গতকাল ৬ জানুয়ারির মধ্যে সরাতে বলা হয়েছিল। বছরের শেষ দিনে বিভাগীয় কমিশনারকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ইসির পক্ষ থেকে চিঠি পাঠিয়েছেন যুগ্মসচিব (চলতি দায়িত্ব) ফরহাদ আহম্মদ খান। ইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার আগেই উত্তর সিটি করপোরেশনের সম্পূর্ণ এলাকা এবং দক্ষিণের নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের আগাম প্রচারসামগ্রী ৬ জানুয়ারি রাত ১২টার মধ্যে নিজ খরচে অপসারণ করতে হবে। তা না হলে প্রার্থী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। ইসি কর্মকর্তারা বলেছেন, নির্ধারিত সময়ের পরে কোনো প্রার্থীর পোস্টার-ব্যানার কোথাও দেখা গেলে সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা অনুযায়ী তা হবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সর্বোচ্চ ছয় মাস কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে। নির্বাচনী আইন লঙ্ঘনের জন্য নির্বাচন কমিশন প্রার্থিতাও বাতিল করতে পারে।

সর্বশেষ খবর