মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

সুষ্ঠু নির্বাচনের আলামত দেখা যাচ্ছে না

নিজস্ব প্রতিবেদক


সুষ্ঠু নির্বাচনের আলামত দেখা যাচ্ছে না

সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো আলামত দেখছেন না বিএনপি মহাসচবি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে চড়ে ভোট চাইলেও বিএনপির সভা-সমাবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে জোর ও দখলদারির মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে আছেন তিনি। ন্যূনতম সম্মানবোধ থাকলে ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন। এখন গ্রেফতার করে আসামি দেওয়া হচ্ছে কাদের? আসামি দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট বারের প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারিকে, যারা ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) সঙ্গে কোর্টে থাকেন। আসামি দেওয়া হয়েছে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব এস এম আবদুল হালিমকে। এই পরিস্থিতিতে আমরা এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো আলমত দেখতে পাচ্ছি না।’ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথ সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশঙ্কার কথা জানান। এ সময় জিয়ার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বেশ কিছু কর্মসূচি নেওয়া হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত কয়েক দিনে অন্যায়ভাবে, বেআইনিভাবে বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। যেদিনই আমাদের চেয়ারপারসন কোর্টে যান, সেদিন কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশ আমাদের ১০০-১৫০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করছে। এটা রাজনীতিতে শুভ লক্ষণ নয়।’ সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, মাহবুবুর রহমান শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ‘জনগণের ভোটে চার বছর অতিক্রম করছি’—প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘৫ জানুয়ারির নির্বাচন কী হয়েছে সেটা পত্রপত্রিকায়, টেলিভিশনের মাধ্যমে জাতি দেখেছে। ১৫৪ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। প্রায় সব কেন্দ্রে ভোটার ছিল না। প্রধানমন্ত্রী আছেন শুধু জোর করে, দখলদারিত্বে। রাষ্ট্রের সব যন্ত্রকে ব্যবহার করে, জনগণের সব আশা-আকাঙ্ক্ষা চূর্ণ করে দিয়ে জবরদস্তি ক্ষমতা দখল করে আছেন। তার যদি এতটুকু গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ থাকত, তাহলে পদত্যাগ করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের কাছে দায়িত্ব করে ক্ষমতা ছেড়ে দিতেন।’ জন্মদিনের কর্মসূচি : ১৯ জানুয়ারি সকাল ১০টায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা জিয়ার মাজারে ফাতিহা পাঠ ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন। কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশের বিএনপি কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দৈনিক সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, রচনা প্রতিযোগিতা, দুস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ, ছাত্রদলের আলোকচিত্র প্রদর্শন, শ্রমিক দলের বর্ণাঢ্য র‍্যালি, জাসাসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কর্মূসচি নেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর