নিউইয়র্কে ব্যস্ততম এলাকায় বোমা ফাটিয়ে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর ষড়যন্ত্রে ব্যর্থ হলেও বাংলাদেশি আকায়েদ উল্লাহ (২৭)-এর বিরুদ্ধে গণহত্যাসহ গুরুতর ছয়টি অভিযোগ (চার্জশিট) দাখিল করেছে যুক্তরাষ্ট্রের গ্র্যান্ডজুরিরা। বুধবার নিউইয়র্কে ফেডারেল কোর্টে অভিযোগপত্র পেশ করার পরই জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ডানা জে বয়েন্টে এবং নিউইয়র্ক সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্টের ইউএস অ্যাটর্নি জিয়োফ্রে এস বারমেন প্রেস ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত অবহিত করেন। খবর এনআরবি নিউজের।

গত ১১ ডিসেম্বর সকালে টাইমস স্কোয়ার সাবওয়ে থেকে পোর্ট অথরিটি বাস টার্মিনালে যাওয়ার সুড়ঙ্গ পথে আকায়েদের কাছে থাকা পাইপ বোমাটি বিস্ফোরিত হয়।  চার্জশিটে বলা হয়েছে— ১. আইসিসের মতবাদে বিশ্বাসী হয়ে সন্ত্রাসে সহায়তাকল্পে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর অভিপ্রায়ে মারাত্মক অস্ত্র ব্যবহার, ২. সর্বসাধারণ ব্যবহার করে এমন স্থানে এবং পাবলিক পরিবহন ব্যবস্থায় বোমা ফাটানোর চেষ্টা, ৩. অগ্নিসংযোগ অথবা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সম্পদের ক্ষতিসাধণ অথবা ক্ষতির চেষ্টা, ৪. গণপরিবহন ব্যবস্থায় সন্ত্রাসী হামলা চালানো অথবা চেষ্টা করা ইত্যাদি। এসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে সারাজীবন তাকে জেলে কাটাতে হবে বলেও ইউএস অ্যাটর্নিরা উল্লেখ করেন।

সাপ্তাহিক কর্মদিবসের সকালে হাজার হাজার আমেরিকান চলাচল করেন যে সুড়ঙ্গ পথে সেখানেই পাইপ বোমা ফাটিয়ে ব্যাপক জনগোষ্ঠীর ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করেন। পাইপ বোমাটি সঠিকভাবে লুকিয়ে রাখতে না পারায় চলতি পথে আকায়েদের অজান্তেই তা ফেটে যায়। চার্জশিটে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, বোমা হামলার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হওয়ার আগে ফেসবুকে ট্রাম্পকে ব্যর্থ প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিহিত করে আমেরিকানদের দুর্গতি দেখার কথা বলেন। আমেরিকানদের সে কীভাবে হত্যা করছে তা অবলোকনের পরামর্শ দেন।

গ্রেফতারের পর থেকেই আকায়েদকে আটক রাখা হয়েছে। নিউইয়র্কসহ বৃহস্পতিবার বিকালে (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ভোর রাত) ফেডারেল জজ রিচার্ড জে সুলিভানের এজলাসে আকায়েদকে হাজির করার কথা। উল্লেখ্য, এর আগে ১৩ ডিসেম্বর তাকে হাসপাতাল থেকেই ভিডিও কনফারেন্সে বিচারক ক্যাথারিন এইচ পারকারের এজলাসে বক্তব্য শোনার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ব্রুকলিনের বাসা থেকে পাইপ বোমা তৈরির যাবতীয় সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকেই সে আইসিসের মতবাদে বিশ্বাসী হয়ে আমেরিকার ধ্বংসে উদ্বুদ্ধ হয়।