পুলিশ বাহিনীর সর্বোচ্চ পদ আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন সংস্থার বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। বর্তমানে দায়িত্ব পালনকারী এ কে এম শহীদুল হকের চাকরির মেয়াদ শেষ হচ্ছে এক সপ্তাহ পর অর্থাৎ আগামী ৩১ জানুয়ারি। দিনটি ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে সর্বত্র অলোচনা কে হচ্ছেন পরবর্তী আইজিপি (পুলিশের মহাপরিদর্শক)।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তরের শীর্ষস্থানীয় বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা কেউ কথা বলতে চাননি। তবে অনেকেই বলেছেন পরবর্তী আইজিপি হচ্ছেন পুলিশের অতিরিক্ত আইজি জাবেদ পাটোয়ারী। বিষয়টি সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে। অতীতে এই বাহিনীতে চুক্তিভিত্তিক আইজিপি নিয়োগ দেওয়া হলেও এবার তেমনটা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। স্বাভাবিক নিয়মে আইজিপি নিয়োগ দেওয়া হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী জাবেদ পাটোয়ারী বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন ১৯৮৬ সালে। ১৯৮৪ ব্যাচের এই কর্মকর্তা চাকরিতে দক্ষতা ও যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে বর্তমানে পুলিশের সর্বোচ্চ পদের এক ধাপ নিচে অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক পদে কর্মরত। তার চাকরির মেয়াদ ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত। ২০১৩ সালে সচিব পদমর্যাদায় গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি পান পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান জাবেদ পাটোয়ারী। পুলিশ প্রশাসনে স্বচ্ছ ইমেজের কর্মকর্তা হিসেবে যথেষ্ট পরিচিতি রয়েছে তার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জেলজীবনের ওপর লেখা গ্রন্থ কারাগারের রোজনামচার বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আলোচনায় আরও আছে অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেসুর রহমানের নাম। পুলিশ সপ্তাহের আগের দিন তাকে পদোন্নতি দিয়ে গ্রেড-১ করা হয়েছে। এ কারণে আইজি হিসেবে বেশ জোরালোভাবে তার নাম শোনা যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা দায়েরের পরপরই ১৯৯৬ সালের ১৩ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর খুনিদের গ্রেফতার করেছিলেন মোখলেসুর রহমান। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন। তিনি পুলিশে যোগ দেন ১৯৮৮ সালে। এ ছাড়া আলোচনায় আছে র?্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের নাম। ১৯৮৮ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেওয়া বেনজীর জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর সদস্য হিসেবে বসনিয়া ও কসোভোতে কাজ করেছেন। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার ছাড়াও পুলিশ বাহিনীতে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।