ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ‘আওয়ামী লীগের পুরনো চরিত্র’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল দুপুরে রাজধানীর বনানী কবরস্থানের সামনে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বনানীতে কোকোর কবর জিয়ারত করেন ফখরুল। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যা ঘটেছে তা আওয়ামী লীগের পুরনো চরিত্র। এটা ছাত্রলীগের নতুন কোনো ব্যাপার না। তারা বহুবার শিক্ষকদের মেরেছে, ছাত্র-ছাত্রীদের মেরেছে। যখনই তাদের বিরুদ্ধে কেউ অবস্থান নিয়েছে তখনই ছাত্রলীগ আক্রমণ করেছে গণতন্ত্রগামী মানুষের ওপর।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আজ ক্ষমতাসীন সংগঠনটি এই অবস্থা চালু করেছে। এটা শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নয়, সমগ্র দেশে, সমগ্র সমাজে, সমগ্র রাষ্ট্রে তারা জোর করে, মস্তানি করে, গুণ্ডামি করে ক্ষমতা দখল করে থাকতে চায়। এটা সমর্থন দেওয়া যায় না, এর অবসান হবেই। এ দেশের মানুষ নিঃসন্দেহে তাদেরকে পরাজিত করবে।’ এ সময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, আতাউর রহমান ঢালী, কেন্দ্রীয় নেতা শামা ওবায়েদ, আমিনুল হক, মীর সরাফত আলী সপু, শাহ নুরুল কবির শাহিন, কাইয়ুম চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম বাবু, চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে কবরস্থানের বাইরে ‘আরাফাত রহমান কোকো যুব ক্রীড়া পরিষদ’ ও ‘আরাফাত রহমান স্মৃতি পরিষদের’ যৌথ উদ্যোগে গরিব ও দুস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন বিএনপি মহাসচিব। এর আগে সকালে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে নেতা-কর্মীরা  কোকোর কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এ সময় দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তৈমুর আলম খন্দকার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলীসহ প্রতিদিন নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন বিএনপির মুখপাত্র।