সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা
ফারুক হত্যা মামলা

এমপি রানার উপস্থিতিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার প্রথম দফার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। গতকাল টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়ার আদালতে বিচারাধীন এ মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার উপস্থিতিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে ২০ মার্চ। এর আগে অসুস্থতার কারণে এমপি রানাকে আদালতে হাজির না করায় চারবার এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ পেছানো হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি মনিরুল ইসলাম খান জানান, বিচারক আবুল মনছুর মিয়া বেলা ১১টায় এজলাসে বসেন এবং প্রথমেই চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার কার্যক্রম শুরু করেন। এদিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে এমপি রানাকে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে আদালতে আনা হয়। পরে মামলার বাদী নাহার আহমেদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। তার সাক্ষ্য শেষে বিবাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল বাকি বাদীকে জেরা করেন। জেরা অসমাপ্ত থাকা অবস্থায় আদালত এ মামলার কার্যক্রম মুলতবি ঘোষণা করেন। পরবর্তী ধার্য দিনে বাদীর অসমাপ্ত জেরা শেষে অন্য সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। এ মামলায় গতকাল কারাগারে আটক আসামি আনিসুল ইসলাম রাজা, মোহাম্মদ আলী ও মো. সমীরকে আদালতে হাজির করা হয়। জামিনের থাকা অপর তিন আসামি মাসুদুর রহমান, ফরিদ আহম্মেদ ও নাসির উদ্দিন নুরুও আদালতে হাজির হন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগ আদালতের বাইরে এমপি রানার শাস্তি চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল পৌর শহরের কলেজপাড়ায় হত্যার শিকার হন ফারুক আহমেদ। এতে টাঙ্গাইল-৩ ঘাটাইল আসনের এমপি আমানুর রহমান খান, টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী ঐক্যজোটের সভাপতি জাহিদুর রহমান খান কাঁকন, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জনকে এ মামলায় আসামি করা হয়। এর মধ্যে সাতজনকে গ্রেফতার হলেও এমপি রানার তিন ভাইসহ সাতজন পলাতক রয়েছেন।

সর্বশেষ খবর