শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করুন

বদরুদ্দোজা চৌধুরী

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্যোগী হয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। তিনি বলেন, জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন করার পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে, যাতে সবাই অংশগ্রহণ করতে পারে। এমন নির্বাচন দিতে হবে, সুষ্ঠু ভোট হতে হবে, ভোট গুনতে হবে। জনগণের এই  দাবিটা গ্রহণ করার ব্যবস্থা করুন প্রধানমন্ত্রী। তাহলে আপনিও ভালো থাকবেন দেশটাও বেঁচে যাবে। না হলে ভয়ঙ্কর সময় আসছে।

গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এই আহ্বান জানান। ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘সোনার বাংলা পার্টি’।

এতে আরও বক্তব্য দেন, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, সোনার বাংলা পার্টির সভাপতি শেখ আবদুন নূর, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন-অর-রশীদ প্রমুখ।

বি. চৌধুরী বলেন, দেশের ৫ শতাংশ লোক গোড়া আওয়ামী লীগ, ৫ শতাংশ গোড়া বিএনপি। আর পাঁচ শতাংশ গোড়া জামায়াত। এর বাইরে বাকি ৮৫ শতাংশ লোক সুষ্ঠু নির্বাচন ও সুন্দর নির্বাচনের আবহ চায়। এর মাধ্যমে তারা প্রতিনিধি নির্বাচন করতে চায়। সেই সুযোগ করে দেন প্রধানমন্ত্রী। আসুন আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করি, যাতে একটা সুষ্ঠু সুন্দর নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায় করতে পারি।

প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধে নিজের কাছে একটি উপায় আছে বলে উল্লেখ করে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, এ ক্ষেত্রে প্রথমত এমসিকিউ বাতিল করতে হবে। এরপর ১০০ নম্বরের মধ্যে ৩৩ শতাংশ পাস করার মতো প্রশ্ন থাকবে। যাতে দুঃখ না থাকে। ফেল করার মতো কঠিন প্রশ্ন আসছে। ৩৩ ভাগ দেন, যারা একটু ভাল পড়াশোনা করছে তাদের জন্য। আর ৩৩ শতাংশ  দেন  মেধা যাচাইয়ের জন্য, কঠিন প্রশ্ন। শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ এই মন্ত্রণালয় পরিচালনায় ব্যর্থ বলে দাবি করেন তিনি। বি. চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বলব—শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি যদি এতই মায়া লাগে তাকে অপসারণ না করেন, কিন্তু অন্য কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন। শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন দরকার।

অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, আরেকজন দেশের অর্থনীতিটাকে শেষ করে দিয়েছে। তিনি মনে করেন, ব্যাংকের দায়িত্ব ব্যাংকারদের। চুরি করলে চোরের দায়িত্ব। এটা কোনো কথা হলো। আপনি অর্থমন্ত্রী, একদিন আল্লাহ না কুক কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়। আপনি বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়ে গেছেন। হাজার  কোটি টাকা চুরি হয়ে যায় আর আপনি হাস্যরস করেন। এরপর আপনার দুই-একটি পেটি ইংরেজি বলেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী আপনি যদি ক্ষমা করেন দেন, ক্ষমা তো মহত্ত্বের লক্ষণ। 

বি. চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে বলব ক্ষমা করা ছেড়ে দেন, দেশটাকে বাঁচান। মন্ত্রীদের কার কথা বলব, আর কার কথা  ছেড়ে  দেব। ভারতে একটি রাস্তা করতে যত টাকা খরচ হয়, বাংলাদেশে তার দ্বিগুণ খরচ হয়। এগুলো হয় দুর্নীতি না হয় অদক্ষতা।’

সর্বশেষ খবর