শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

ধূম্রজাল সৃষ্টি করছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ধূম্রজাল সৃষ্টি করছে সরকার

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার বেআইনিভাবে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেওয়া সাজার রায়ের কপি (অনুলিপি) দিতে বিলম্ব করছে। আইন অনুসারে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে রায়ের কপি দেওয়ার কথা থাকলেও সরকার তা দিতে দেরি করছে। তারা চায় খালেদা জিয়ার কারাবাস দীর্ঘায়িত হোক। তাই সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে রায়ের কপি নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি করছে। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে দলের মহাসচিব সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন। এর আগে ঢাকা বারের জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নবীন আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বিএনপি মহাসচিব।

দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে সভায় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, মীর মোহাম্মদ নাছির হোসেন, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, অ্যাডভোকেট ফাহিমা মুন্নী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আইনের যে বিধান রয়েছে সেখানে মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যে সার্টিফায়েড কপি দেওয়ার কথা। সেটি এখন পর্যন্ত তাকে দেওয়া হয়নি, আট দিন হয়ে গেছে। এ থেকে বোঝা যায়, সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে আইনকে হাতে নিয়ে বেআইনি কাজ করছে। দেশনেত্রীর যে মুক্তি, তাকে বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আইন যাতে নিজস্ব গতিতে চলে তার দাবিও জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘সরকারের এই যে প্রচেষ্টা দেশনেত্রীকে রাজনীতি থেকে, নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখা, জনগণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এর জবাব দেবে।’ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন বলেন, “আমরা রায়ের দিনই (৮ ফেব্রুয়ারি) আদালতের কাছে একটি সত্যায়িত কপি চেয়েছিলাম। এটা দেওয়ার বিধানও আছে। আমাদের হাই কোর্ট রুলসে বিধান আছে, একটি সত্যায়িত কপি দ্বারা যে কোনো আপিল ফাইল করা যায়। কিন্তু তারা আজ পর্যন্ত সত্যায়িত কপিটিও সরবরাহ করেনি। আমাদের ক্রিমিনাল রুলস অনুযায়ী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে আদালত অবশ্যই সার্টিফায়েড কপি সরবরাহ করবেন। আদালত প্রতিদিনই বলছেন, ‘আগামীকাল পেয়ে যাবেন, আমরা এগজামিন করছি।’ এখানে এগজামিন করার কোনো বিষয় নেই। রায় দেওয়ার পর এটা পরিবর্তন করার বা অন্য কোনোভাবে এগজামিন করার বা সংশোধন করার বা কোনো ল্যাঙ্গুয়েজ পরিবর্তন করার কোনো সুযোগ নেই।”

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর